অমরেশ দত্ত জয়ঃ ভাড়াটিয়া হিসেবে আরমানের চালিত অটোরিক্সায় উঠে তা ছিনিয়ে নিতে ইট দিয়ে আঘাত করে ২ খুনি তাকে হত্যা করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা হাজীগঞ্জের দক্ষিণ দোয়ালিয়া সাকিনস্থ রাস্তার পাশে প্রমাণ লোপাটে আরমানকে বালিচাপা দিয়ে তার অটোরিক্সাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
৮ নভেম্বর বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তফা কামাল রাশেদ।
তিনি বলেন, খুনের ঘটনা ঘটানো ২ খুনিকে আটক এবং ছিনতাই হওয়া অটোরিক্সাটি উদ্ধার করেছি। এমনকি খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আরমানের মাথায় আঘাত করা রক্তাক্ত ইটটিও আমরা একটি খালের পাশ হতে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা এই ক্লুলেস হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছি। আসামীদের আমরা আদালতে পাঠাচ্ছি।
মোঃ মোস্তফা কামাল রাশেদ আরও বলেন, খুনে সম্পৃক্ত দুই আসামী হচ্ছেন শুক্কুর আলম এবং মোঃ সবুজ। এরা দুজনেই চোর। যাদের নামে পূর্বেও থানায় চুরির মামলা রয়েছে। তারা হাজীগঞ্জের বাড্ডা এলাকার মজুমদার বাড়ীর বাসিন্দা। একে অপরের সহায়তায় অটোরিক্সাটি ছিনতাই করতে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে আরমানকে তারা হত্যা করে। পরে লাশ গুম করতে তা বালি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় আরমানের অটোরিক্সাটি সাথে নিয়ে যায় যা আমরা একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করি।
হত্যার রহস্য উন্মোচন করায় পিবিআই এর প্রতি স্বস্তি প্রকাশ করে আরমানের পিতা মোতালেব বলেন, আমার ২য় সংসারের বড় ছেলে ছিলো আরমান। সেই ঘরে ওর মা এবং ছোট ভাই ও বোন রয়েছে। আরমানের অটোরিক্সার আয়ের টাকাতেই সংসার চলতো। যারা আমার বুকের ধন আরমানকে খুন করলো আমি তাদের ফাঁসি চাই।
এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চাঁদপুরের উপ পুলিশ পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম মীরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।