অমর দাস আবিরঃ
বিএনপিসহ সরকার বিরোধী দলের ডাকা অবরোধে বাস ও বড় গাড়ী সংকটে ঘন্টার পর ঘন্টা চাঁদপুর সদরের হরিণা ফেরীঘাটে অপেক্ষমান রয়েছে ফেরী। এতে করে দূর্ভোগে পড়েছে ফেরী করে যাতায়াতের জন্য ঘাটে যাওয়া দুরপাল্লার মোটর সাইকেলের আরোহীরা।
৮ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় হরিণা ফেরীঘাটে গেলে মোটরসাইকেল আরোহীরা তাদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন।
আরিফুল ইসলাম নামের এক বাইক আরোহী বলেন, আমি বিকালে এসেছি ফেরী পার হয়ে শরিয়তপুর যাবো। কিন্তু দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যার এই পর্যন্ত একটি ফেরীও চলাচল করেনি। ফেরীর মাষ্টাররা বলেছেন কমপক্ষে ৭টি বড় গাড়ী বা ট্রাক না পেলে তারা ফেরি ছাড়বেন না। আর এতে করে বিপাকে পড়েছি আমরা মোটরসাইকেল আরোহীরা।
বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর সূত্র জানায়, বর্তমানে হরিণা ফেরীঘাট হয়ে শরিয়তপুর ঘাটে যাতায়াতকারী ৫টি সচল কে টাইপ ফেরী হলো কুমারী, কামিনি, কেতুকী, কাকলী এবং কস্তুরি। আগামীতে আরও ২টি ফেরী চাঁদপুর অঞ্চলের এই হরিণা ফেরীঘাটে যুক্ত হবে। তবে গাড়ী সংকটে এখানে চলাচলকারী রো রো ফেরীটি পাটুরিয়া অঞ্চলে পাঠায়ি দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর হরিণা ফেরীঘাটের নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মোঃ রেজাউল করীম বলেন, অবরোধের কারনে ঘাটে বাস আসছে না এবং দূরপাল্লার বড় বড় ট্রাকও আসছে কম। তবে অবরোধে আআইন-শৃঙ্খলা জনিত যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে সিফ্ট ভিত্তিতে সকাল ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা এবং সন্ধ্যা ৬টা হতে আবার ভোর ৬টা পর্যন্ত তৎপরতারসহিত দায়িত্ব পালন করছি।
বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের এজিএম (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী বলেন, সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪টি ফেরী আসা যাওয়া করেছে।একটি ফেরীর চাহিদা কমপক্ষে ৭টি ট্রাক। যা না পাওয়ায় দুপুরের পর থেকে এ অঞ্চলের একটি ফেরীও চলাচল করেনি। সকালের পর বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ী কমতে শুরু করেছে। তবে অবরোধে আমরা ফেরী বন্ধ রাখিনি এবং গাড়ী পেলে ২৪ ঘন্টাই ফেরী চলাচল করবে।