শিমুল অধিকারী সুমনঃ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘবছর পর অবশেষে প্রধান ফটক ও সীমানা প্রাচীর পেলো চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা প্রশাসন ভবন। এতে করে উপজেলার দাপ্তরিক কার্যালয়গুলোর নিরাপত্তা যেনো আরও জোড়দার হলো।
১৪ জানুয়ারি দুপুরে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভবনের সীমানা প্রাচীর, মেইন ফটক ও তারুণ্য মঞ্চ উদ্বোধন করেন ইউএনও উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা।
জানা যায়, ১৯৮৪ সালে মেঘনা নদীর তীর ঘেষা অঞ্চল হাইমচর উপজেলা গঠন হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান রাখতে বার বার উপজেলা ভবন স্থানান্তর করা হয়। সবশেষে আলগী বাজার সংলগ্নে উপজেলা ভবন নতুন করে নির্মিত হয়। কিন্তু ভবনটির সীমানা প্রাচীর ও প্রধান ফটক না থাকায় যত্রতত্র যখন তখন জনসাধারণের প্রবেশ ছিল অবাধে।
আরো জানা যায়, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা হওয়ায় হাইমচরে শিক্ষা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রসারে শিল্পকলা একাডেমি না থাকায় জেলা শহরে যেতে হয় সাংস্কৃতিক মনা মানুষদের। একাধিক বিড়ম্বনা থাকা সত্ত্বেও এই অঞ্চলে সংস্কৃতিতে বিভাগীয় পুরস্কারের অভাব নেই।
স্থানীয় তাহের, ফারুক, জাহিদুলসহ আরও অনেকে বলেন, নদী ভাঙ্গার কবলে বহুবার পতিত হলেও উপজেলা প্রশাসনের দাপ্তরিক কার্যক্রম সব সময় অব্যাহত ছিলো। প্রায় ২২ বছর পূর্বে বর্তমান জায়গায় দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়। ধীরে ধীরে অনেক ভবন নির্মাণ হলেও সীমানা প্রাচীর না থাকায় ভবনটি অরক্ষিত থেকে যায়। বহু বছর পর উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সীমানা প্রাচীর, প্রধান ফটক ও শিক্ষা সংস্কৃতি প্রসারে তারুণ্য মঞ্চ তৈরি হওয়ায় এই অঞ্চলের নদী ভাঙ্গনকবলিত খেটে খাওয়া মানুষগুলো আবার ঘুরে দাঁড়াবে এই প্রত্যাশা।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, উন্নয়নে জনগণের পাশে থাকার ব্রত নিয়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছি। প্রতিদিন শত শত অসহায় হতদরিদ্র মানুষের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়। এলাকার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সীমানা প্রাচীর টি জরুরী ছিল যা সম্পন্ন করতে পেরেছি। উপজেলার দাপ্তরিক কার্যালয়গুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকটি নিশ্চিত হয়েছে। কেননা প্রশাসন নিরাপদ থাকলে উত্তম সেবা পাবে জনগণ। তারুণ্য মঞ্চ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করেছি। যা শুভবুদ্ধির মানুষগুলোর উন্মুক্ত চিন্তা সংস্কৃতি চর্চায় ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করছি।