স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ শহরের কালীবাড়ি মন্দিরে চাঁদপুর জেলা শীল সমিতির আয়োজনে বিশ্বকর্মা পূজা করা হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকেই মন্দিরে শুরু হবে পূজোর আনুষ্ঠানিকতা।
চাঁদপুর বিশ্বকর্মা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজন চন্দ্র সরকার ও সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার ‘হিলশা নিউজ’-কে বলেন, সকাল ১০টায় পূজোর ঘট ভরন, দুপুরে প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যায় আরতি করা হবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় সনাতনী ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পূজোর সমাপ্তি করতে সকলের সহযোগিতা চাচ্ছি।
চাঁদপুর জেলা শিল সমিতির সভাপতি চন্দন চন্দ্র শীল বলেন, বিশ্বকর্মা পূজা বা বিশ্বকর্মা জয়ন্তী হচ্ছে একটি হিন্দুধর্মীয় উৎসব। হিন্দু স্থাপত্য দেবতা বিশ্বকর্মার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এই পূজা করা হয়। তাকে স্বয়ম্ভু এবং বিশ্বের স্রষ্টা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, রামায়ণে উল্লিখিত ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের বিভিন্ন গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা।
চাঁদপুর জেলা শীল সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মজুমদার বলেন, বিশ্বকর্মার ভক্ত হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি যে তিনি এই বিশ্বের সব কর্মের সম্পাদক। তিনি সব ধরনের শিল্পের প্রকাশক। শিল্পবিদ্যায় বিশ্বকর্মার রয়েছে একচ্ছত্র অধিকার। তিনি নিজেই চতুঃষষ্টিকলা, স্থাপত্যবেদ এবং উপবেদ এর প্রকাশক। কথিত আছে, পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথমূর্তিও তিনিই নির্মাণ করেন। তাকে স্বর্গীয় সূত্রধরও বলা হয়।
এদিকে সকল সনাতনী ভক্তবৃন্দকে পূজোর প্রসাদ গ্রহণে দুপুর সাড়ে ১২টায় কালীবাড়ি মন্দিরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিশ্বকর্মা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নিত্য গোপাল শীল, অমর চন্দ্র সরকার, শুভ চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি তপন চন্দ্র দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন চন্দ্র শীল, লিটন সরকার, কোষাধ্যক্ষ শ্যামল চন্দ্র শীল,সহকোষাধ্যক্ষ রনজিত সরকারসহ অন্যান্যরা।
শেয়ার করুন।