সাগর আচার্য্যঃ দেবী দুর্গা যে আসবেন—তা জানান দেয় মহালয়া। আজ রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে দেবীর আবাহনেই শুরু দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা। আর মহালয়ার ছয়দিন পরেই শুরু হবে দেবীর আরাধনা। চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহন করবেন অনুসারীরা। আর এই ‘চন্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। পঞ্জিকা অনুযায়ী এবার দেবী দুর্গা গজে আগমন করবেন এবং ফিরবেন নৌকায়। মহালয়ার পাঁচদিন পর ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১ অক্টোবর বোধনের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী পালিত হবে। আর ৫ অক্টোবর হবে দেবী বিসর্জন।
চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, আগামী ১ অক্টোবর শনিবার বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। ১ অক্টোবর ষষ্ঠী, ২ অক্টোবর সপ্তমী, ৩ অক্টোবর অষ্টমী, ৪ অক্টোবর নবমী এবং ৫ অক্টোবর দশমীর দিন দেবী বিদায় নেবেন।
পিতৃপক্ষের শেষ দিনটিকে মহালয়া বলা হয়। সেই হিসেবে আজ মহালয়া। এ দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। প্রচলিত আছে, মৃতব্যক্তির মৃত্যু তিথি জানা না-থাকলে এদিন তর্পণ করা যেতে পারে। এদিন সকলেই তর্পণ করতে পারেন। কৃষ্ণপক্ষের সমাপ্তি এবং শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনার আগের অমাবস্যাকে মহালয়া বলা হয়। তবে কেন পিতৃপক্ষের শেষে অমাবস্যার দিনটিকে মহালয়া বলা হয়, সে বিষয় নানা মত প্রচলিত রয়েছে।
পুরান মতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনও মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।
উপলক্ষে আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে চাঁদপুরের বিভিন্ন মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মন্দির কমিটি।