মতলব দক্ষিণ সংবাদদাতাঃ ইভটিজিং ও মারধরের ঘটনায় চাঁঁদপুরের মতলবের এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য। মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় বছর দেড়েক পূর্বে বোয়ালিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় ইভটিজিংয় করতো মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহরী এলাকায় অবস্থিত সামছুল হক মডেল কলেজের প্রভাষক সোহাগ প্রধান। বোনের ইভটিজিংয়ের বিষয়ে বোয়ালিয়া বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়।তবে পরবর্তীতে প্রভাবশালী আসামীর প্রভাবে সে সালিশ আর হয়ে উঠেনি।আর সালিশ না হওয়ায় ঘটনা আড়াল করতে সে (প্রভাবশালী সোহাগ প্রধান) ভাই ফাহিম সরকারকে তার বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি কাঠাল গাছে বেঁধে উল্টো বেধরক মারধর করা হয়। গরীব অসহায় ফাহিমের পরিবার প্রভাবশালীদের ভয়ে বিচারের জন্য কারো কাছে যেতে সাহস পায়নি বলে ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু এতেও প্রভাষক সোহাগ প্রধানের মনের ক্ষোভ কমেনি। সে ও তার দুই ভাই মিলে ওৎ পেতে থেকে গত ১০ অক্টোবর সন্ধার পর ফাহিম সরকার তার এক বন্দুর বাড়ি থেকে আসার পথে বোয়ালিয়া খেলার মাঠে ফাহিমকে পুনরায় মারধর করতে থাকে। ফাহিম দৌঁড়ে সরে যেতে চাইলে সোহাগের হাতে থাকা টেঠা ছুড়ে মারলে তা তার মাথায় লাগে।
ফাহিমের পরিবার ঘটনাস্থল হতে ফাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রওনা দিলে স্থানীয় হরিসভার মোড়ে আসলে সেখানেও সোহাগ ও তার দুই ভাই আরেক দফা মারধর করে মামলার বাদী ও তার পিতাকে। এ বিষয়ে মামলার বাদী বলেন,পূর্বশত্রুতার কারনে সোহাগ তার দুই ভাই মিলে আমার জেঠাতো ভাইকে কয়েকবার মারধর করে। আমি আমার পিতাসহ তাকে(ফাহিম)কে হাসপাতালে নেয়ার পথে৷ তারা আমাদেরকে আনেক দফা মারধর করে। আমরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচারের জন্য আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। আশাকরি আদালতের আদেশে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বার বার চেষ্টা করেও সোহাগ ও তার দুুই ভাইয়ের অভিযোগের বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।