রাজিব সরকারঃ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর মাঠে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নে বিএনপি’র দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। মোশারফ গ্রুপ ও মিলন গ্রুপের সদস্যরা একে অন্যকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস বলে ঘায়েলমূলক বক্তব্য দিয়েছে। প্রত্যেকেই ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় আদালতে মামলা করেছে।
২৬ আগষ্ট সোমবার দুপুরে কচুয়াতে ছামাদের পরিবারের সংবাদ সম্মেলনের পর এসব তথ্য উঠে আসে।
জানা যায়, গেলো ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা দুষ্কৃতি কর্তৃক সাধারণ ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মানুষের জানমাল রক্ষায় ভূমিকা নিলেও কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নে ঘটেছে এর পুরো উল্টোচিত্র। সেখানে বিএনপি এবং যুবদলের নেতাকর্মীরা দলীয় কোন্দল, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিজেরা নিজেরাই একে অপরকে মারধর করে সবার বাড়ীঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও পাল্টাপাল্টি মামলায় জড়িয়েছেন। প্রত্যেকেই একে অপরকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ বলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন।
ছামাদের পরিবার কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গেলো ৭ আগষ্ট বুধবার সকালে বিতারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের উত্তর শিবপুর গ্রামে মেশারফ গ্রুপের যুবদল নেতা আবু সামাদের বাড়ী ঘরে হামলা, স্বর্ণালঙ্কার লুট ও তাদেরকে মারধরের অভিযোগ জানিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পর ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় প্রকৃত সত্য তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
এতে মোঃ আবদুল ছামাদ বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে আমাকে টার্গেট করে আমার পরিবারের সাথে এই অমানবিক অত্যাচার ও নিপিড়ন চালিয়েছে মিলন গ্রুপের সাহাবুদ্দিনসহ অজ্ঞাতরা। আমার হাত ভেঙ্গে ফেলে মেরে ফেলে রেখে যায়। পরে আমার পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা, ঘরে থাকা ১১ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার এবং প্রায় ২০ লাখ টাকা সমমূল্যের বাড়ীঘর ও আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করে ক্ষতিসাধন করে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পেতেই আদালতের দারস্ত হয়েছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ছামাদের ছোট ভাই রাকিব হাসান, স্ত্রী মর্জিনা বেগম, মেয়ে সায়েমা সুলতানা, শাশুড়ি পারভীন বেগমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ছামাদের অভিযোগের পূর্বে মোঃ সাহাবুদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলন ভাইয়ের নির্দেশে সমাজ থেকে ছামাদ গংয়ের মতো চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের সকল কার্যকলাপ জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও রাজপথ ও আইনের প্রতি সম্মাণ রেখে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখবেন বলে মন্তব্য করেছেন।
তবে রাজনৈতিক গ্রুপিং বন্ধে দলীয় হাইকমান্ড দ্রুত মনোযোগী হয়ে সাংগঠনিক ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।