রাজীব চন্দ্র শীলঃ চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজার সংলগ্ন সাতবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত “তা’লীমুল কোরআন ওয়াল হিকমাহ কওমী মাদ্রাসা”র হুজুর হাফেজ ওমর ফারুক কর্তৃক ১৩ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের আকিয়ারা গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে হাফেজ ওমর ফারুক রহিমানগর বাজার সংলগ্ন সাতিবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত তা’লীমুল কোরআন ওয়াল হিকমাহ কওমী মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষকতা করে আসছেন।গতকাল বিকাল ৪ ঘটিকার দিকে হাফেজী বিভাগের ১৩ বছরের এক ছাত্রকে মাদ্রাসার টয়লেটে নিয়ে বলাৎকার করেন।বলাৎকারের বিষয়ে যেনো কাউকে কিছু না বলে,বললে তাকে মারধর করা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন হাফেজ ওমর ফারুক।
পরে সন্ধ্যার দিকে ছেলেটির পায়ুপথে ব্যাথা অনুভব হলে সে বাড়ি গিয়ে সমস্ত ঘটনা তার মাকে খুলে বলেন।তার মা ছেলেটির বাবাকে জানালে,তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের বিষয়টি অবহিত করেন।এতে করে এলাকার লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলেন এবং হুজুরের বিচারের দাবিতে মাদ্রাসা ঘিরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।উত্তেজিত জনতা হুজুরের মাথার চুল কেটে ফেলেন এবং গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঘুরাতে চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এ ঘটনায় কচুয়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান,ছেলের বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের আইনে মামলা দায়ের করেছেন।আমরা মামলা রেকর্ড করে আসামীকে কোর্টে চালান করে দিয়েছি।আর শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বলাৎকারের শিকার হওয়া শিশুটির বাবা জানান,একমাস আগেও সে আমার ছেলেকে বলাৎকার করেছিল কিন্তু ভয়ে আমার ছেলে আমাকে কিছু বলেনি।গতকাল বলাৎকারের পরে আমার ছেলে ব্যাথা অনুভব করলে তার আম্মাকে সব কিছু খুলে বলে এবং আগের ঘটনাও বলে দেয়।আমরা হুজুর নামক এই নরপশুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এই ঘটনায় এলাকার লোকজন ক্ষোভে ফুৃঁসে উঠেছে। স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশের অনিচ্ছা জানিয়ে বলেন,এই কওমী মাদ্রাসার কয়েকজন হুজুর আগেও কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছিল।
মাদ্রাসার ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ হাফেজ ওমর ফারুককে লিখিতভাবে বহিষ্কার করেছেন।
