রাজীব চন্দ্র শীলঃ চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের করিম মেম্বার বাড়ীর মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে হৃদয় হোসেনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে তরুনীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে থানায়।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী তরুনী বলেন, হৃদয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে প্রায় ২ বছর।এই দুই বছর সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আমাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে দফায় দফায় ধর্ষণ করে। আমি তাকে বিয়ের কথা বললে, সে বলে আমি আগে প্রতিষ্ঠিত হই তারপর তোমাকে বিয়ে করবো।
ভুক্তভোগী আরো বলেন, গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার হৃদয় আমার কর্মস্থল রহিমানগর কলেজ গেটে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে গিয়ে রাত ৮ টায় বসে থাকে এবং আমাকে তার সাথে নিয়ে যেতে চায়।আমি তার সাথে যেতে অপারগতা প্রকাশ করি এবং আমার ডিউটি শেষ করে রাত ৯টায় বাড়ি ফিরে আসি। সে আমার পেছন পেছন আমার ঘরে ঢুকে পড়ে এবং আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। আমি তাতে বাঁধা প্রদান করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে জোর পূর্বক আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরে আমি ডাকচিৎকার করলে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে এবং হৃদয়কে আটক করে।
এদিকে ঘটনার ১ ঘন্টা পরে হৃদয়ের মা, ভাই সোহাগ এবং কামরুলের নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জনের একটি দল এসে আমাদের ঘরের বেড়া ভাঙ্গে এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। আমাকে মারধর করে, ধারালো পদার্থ দিয়ে আমার হাতে পৌঁচ দিয়ে হৃদয়কে নিয়ে চলে যায়। আমরা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
একই গ্রামের ইউনুস বেপারী বলেন, হৃদয় এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসা করে। সে এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এই ব্যবসা পরিচালনা করে। এছাড়া সে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদের নিয়ে কিশোর গ্যাং গঠন করে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। অসহায় মেয়েটাকে সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার জীবনটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে আমরা এলাকাবাসী এর উপযুক্ত বিচার চাই। মেয়েটির বাবা নেই, মা রহিমানগর বাজারে হোটেলে মশলা বাটার কাজ করে। ভাই একজন ডেকোরেটরের দোকানে থাকে। মেয়েটির দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে হৃদয় ফায়দা লুটছে।
১০নং গোহাট (উঃ) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। তাই আমি কিছু বলতে পারবো না।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মনির হোসেন বলেন, আমি ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। শুনেছি তারা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে জানিয়েছে। আইনগতভাবে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হোক এটা আমি চাই।
এ বিষয়ে হৃদয়ের তাৎক্ষনিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এ ঘটনায় কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমি যতদুর শুনেছি, ঘটনাটি প্রেমঘটিত। কিন্তু মেয়েটি যেহেতু থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সেহেতু অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।