অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুরের কচুয়া ১২নং আশ্রাপপুর ইউনিয়নের স্বর্ণকার বাড়িতে মর্জিনা আক্তার (২৮) এবং রোকসানা বেগম (২৪) কে মারধর করে তাদের প্রায় দেড় ভরি স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগের উঠেছে।
১৭ই অক্টোবর শনিবার এ মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে জানানো হয়।
তারা বর্তমানে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ৪র্থ তলায় মহিলার ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, হাসপাতালে ভর্তি মর্জিনা আক্তার কচুয়া আশ্রাপপুর ইউনিয়নের স্বর্ণকার বাড়ির ছালমা বেগম এবং হোসেন মিজির মেয়ে। এবং রোকসানা বেগম একই বাড়ির রওশন আলী ও সুমাইয়া বেগমের মেয়ে।
১৯শে অক্টোবর সোমবার সরজমিনে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসাধীন আহত মর্জিনা আক্তার এবং রোকসানা বেগম গণমাধ্যমকর্মীদের অভিযোগ করে জানান, আমরা আমাদের বৈধ পাওনা জায়গা বেড়া দিচ্ছিলাম। কিন্তু সেটা করতে দিতে চায় না আমাদের এলাকারই একটি পক্ষ। তারা আমাদের কে আমাদের নিজস্ব সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে। অতছ আদালত থেকে এ জায়গা আমাদের জানিয়ে বৈধতার রায় দেওয়া হয়েছে। যার সব কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে।
তারা গণমাধ্যমকর্মীদের আরো জানান, ঘটনার দিন অতর্কিতভাবে আমাদের উপর অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে ওই পক্ষ। পরে আবদুল হাই, রফিক মিয়া এবং দেলোয়ারসহ তাদের ২৫/৩০ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল আমাদের এলোপাতাড়ি লাথি-কিল-ঘুষি মারতে থাকে। কিন্তু এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে আমাদের ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে ওরা আমাদের প্রায় দেড় ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। পরে আমাদের পরিবার আমাদেরকে ওদের থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপরে আমাদের চিকিৎসার জন্য আহত অবস্থাতেই হাসপাতালে ভর্তি করে। এখন আমরা সম্পদ হারানোর আশঙ্কা করছি এবং চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা আইনী সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে এ অভিযোগের ব্যপারে আবদুল হাই, রফিক মিয়া এবং দেলোয়ারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন স্থানীয় ১২নং আশ্রাপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুভাস। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আমি লোকমারফতে মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। তবে প্রকৃতপক্ষে জায়গা কার সেটি আমি জানিনা। কেননা ওরা কোন পক্ষই ইউনিয়ন পরিষদের ওপর আস্থা রেখে এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি।এমনকি কোন পক্ষই তাদের জায়গার কাগজপত্র দেখায়নি। তবুও আমি চেষ্টা করবো ওদের বিষয়টি ভালোভাবে জেনে সমাধানের পথ বের করতে।
