স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন বাবু নিহতের মামলায় মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানসহ ৭জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৮ জুন রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কোন্দলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন মোবারক। যদিও এই সংঘর্ষে ইমরান বেপারী ও জহির কবিরাজ নামের আরও ২জন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে পুলিশ কর্তৃক কাজী মিজান আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মোহনপুরে তার প্রতিপক্ষরা তাকেসহ ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে বিক্ষোভকারীরা কাজী মিজানের কুস পুত্তলিকা দাহ করা হয়। এসময় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন বলেন, বাহাদুরপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কাজী মিজানকে প্রধান আসামী করে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি থানায় বাদী হয়ে দায়ের করেছেন নিহতের আপন ভাই আমির হোসেন কালু। আমরা মামলার পর অভিযান চালিয়ে কাজী মিজানসহ ৭জনকে আটক করেছি। অন্য আসামীদেরকেও দ্রুত আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুমকির প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেয়ার সময় রাজাকার কাজী মিজানসহ তার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুলি করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর ওপর। এতে যুবলীগকর্মী মোবারক নিহত হয়। আমি নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং এ নেক্কারজনক হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি।
এদিকে এর আগে কাজী মিজান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেনের নিহতের ঘটনায় আমাকে জড়ানোর মধ্য দিয়ে প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করি। এই হত্যাকাণ্ডে আমাকে জড়ানোর অপচেষ্টা অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিই দুর্বল হবে। যার সুযোগ নিবে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঘাটি উত্তর মতলবকে ধরে রাখতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি।