অমরেশ দত্ত জয়ঃ কুরবানীর আগেই মাংস পক্রিয়াজাতকারী ব্যাক্তি হিসেবে ধাপে ধাপে চাঁদপুরের প্রায় ৩শ’ কসাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর। যাতে করে সুন্দর ও সাবলীল স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস ছাড়ানোর উপায় সম্পর্কে তারা জানতে পেরেছে।
২৯ মে বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: জ্যোতির্ময় ভৌমিক। তাদেরকে ২০২৩ সালের অক্টোবর হতে ২০২৪ এর মে পর্যন্ত সময়ে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
এক তথ্যে দেখা যায়, কসাইদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এই সময়ে সুস্থ্য রাখতে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪২ মাত্রায় গবাদিপশু, ৫৩ লাখ ৪০ হাজার মাত্রায় হাঁস মুরগী কে টিকা প্রদান করা হয়েছে।একই সাথে নানা রোগে ১ লাখ ৩২ হাজার ১০টি গবাদিপশু, ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬১টি হাঁস মুরগী ও ৭শ’ ১৬টি পোষা প্রাণিকেও চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, আমি এ জেলায় যোগদান করে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫৮ জন খামারীকে প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছি। মাংস প্রক্রিয়াজাতকারী ব্যাক্তি হিসেবে শুধু কসাইদেরকেই নয় এরসাথে ইমামদেরকেও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছি। এছাড়াও নানা কারনে এখন পর্যন্ত ১১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুরবানীর আগেই আমরা মেডিকেল টিম গঠনে কাজ করছি। প্রতিটি হাটে বাজারে গবাদিপশুর রোগ নির্ণয়সহ যাবতীয় সমস্যায় তারা মাঠে কাজ করবে। মানুষ এই দপ্তরের সকল সেবা নিয়ে সবসময় সন্তুষ্ট থাকুক এইটাই প্রত্যাশা।