স্টাফ রিপোর্টারঃ ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর চাঁদপুরের ক্ষতিগ্রস্থ স্থানঘুলো পরিদর্শন ও ভুক্তভোগীদের খোঁজ নিয়েছেন নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ কামরুজ্জামান।
২৮ মে মঙ্গলবার বিকালে হাইমচরের চর ভৈরবী ইউনিয়নের বাবুরচরসহ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য চরে উপস্থিত তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী জমিও পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি স্থানীয় কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরবর্তীতে তিনি মাঝেরচর এলাকা হতে মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বিপুল পরিমান চরঘেরা জাল উদ্ধারপূর্বক আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
এ বিষয়ে নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, চরঘেরা জাল মৎস্য সম্পদ বিনষ্টকারী একটি জাল। ছোট পোনা থেকে বড় মাছ বাদ যায়নি কোন কিছুই এ জালের ফাঁদ থেকে। এ জালটির প্রস্থ ৫ থেকে ১০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০০ মিটার থেকে কয়েক কি: মি: পর্যন্ত হয়ে থাকে। জালটি পাতা হয় জোয়ারের সময় এবং মাছ ধরা হয় ভাটার সময়।
তিনি আরও বলেন, জোয়ারের সময় আসা মাছ ভাটার সময় পানি নেমে গেলে আটকা পড়ে যায় ডাংগায়। কি অভিনবত্ব! আমরা পাতানো অবস্থায় ৩৫ হাজার বর্গ মিটার চরঘেরা জাল উদ্ধার করি। এর সঙ্গে জড়িতরা ঘটনাস্থলে না থাকায় তাদের কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। চরঘেরা জালের ব্যবহার পুরপুরি নির্মুল করার লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় অভিযানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ বেলায়েত হোসেন শিকদার, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইমতিয়াজ আহাম্মদ,চাঁদপুর নৌ থানার ওসি কামরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।