স্টাফ রিপোর্টারঃ নিষেধাজ্ঞার দুমাস পর চাঁদপুরের আড়তগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ না মিললেও চেউয়া, আইর ও চিংড়িসহ দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিযান সফল হলেও ইলিশের মৌসুম এখনি নয়। তাই দ্রুত বাজার দখলে নিবে ইলিশ।
২ মে মঙ্গলবার সকালে শহরের বড়ষ্টেশন মাছঘাট, পুরানবাজার, বহরিয়া, হরিণা মাছঘাট ও আনন্দবাজার মাছঘাটে গিয়ে মাছের এমন দৃশ্য দেখা যায়। যার কারনে বরফ ব্যবসায়ীরাও হতাশ।
বড়ষ্টেশনের বরফ কর্মচারী সোহাগ বলেন, ইলিশের মতো অন্যান্য দেশীয় মাছ তেমন রপ্তানী বা বাজারজাত হয়না। আর আশপাশের খুচরা ক্রেতাদের দেশীয় মাছের জন্য বরফ লাগেনা। তাই ইলিশ সরবরাহ কম হওয়ায় বরফ তেমন প্রয়োজন হচ্ছেনা বলে অলস সময় কাটাচ্ছি।
সদরের হরিণা মাছঘাটের আড়তদার আনোয়ার বলেন, পদ্মার ইলিশের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তেমন মাছ ঘাটে আসছে না। অভিযান সফল হয়নি বরং অভিযানে অসাধুতার কারনে দুষ্টু জেলেরা নির্বিচারে ইলিশ ধ্বংস করেছে। তাই ঘাটে ইলিশ তেমন নেই।
আনন্দবাজারের আড়তদার মালেক বলেন, আমরা দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২৫০০ এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা করে বিক্রি করছি। দাম বেশি হওয়ায় মানুষ কম দামে দেশীয় মাছ কিনে নিচ্ছে। যেমন ১ কেজি লাল চেউয়া মাছ মাত্র ৩শ’ টাকা, ৫শ’ টাকায় চিংড়ি এবং ৭শ’ টাকায় ১ কেজি ওজনের আইর মাছ নিতে পারছে। মানুষ এখন সস্তাটাই বেশি খোঁজে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে ইলিশের আকাল প্রসঙ্গে চাঁদপুর সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, অভিযান সফল বলেই বাজারে ইলিশের পাশাপাশি দেশীয় নানা জাতের মাছ বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। তবে ইলিশ তুলনামূলক কম হওয়ার কারন হচ্ছে নদীর মূল পয়েন্টে বহিরাগত জেলেরা মাছ ধরে ফেলছে। যার কারনে তারা চাঁদপুরে মাছগুলো না এনে অন্যান্য জেলায় ইলিশগুলো নিয়ে যাচ্ছে। যার কারনে চাঁদপুরের আড়তগুলোতে ইলিশ কিছুটা কম পাওয়া যাচ্ছে।এছাড়া আবহাওয়া ও পানির গুণাগুণের কারনে এখন ইলিশ একটু পাওয়া গেলেও দ্রুতই তা বাড়বে বলে আশা করছি।