স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুরের কচুয়ার তেতুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের খিড্ডা গ্রাম থেকে ১৭টি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সাপগুলোর মধ্যে দাড়াইশ, গোখরো ও কালী ফানক সাপ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী সাপগুলো উদ্ধার করে এক সাপুড়েসহ স্থানীয়রা।
২৭ নভেম্বর শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাজী বাড়ির গৃহকর্তী অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা রাজু।
তিনি জানান, আমাদের এলাকার মো: হাকিম আলী হাজীর বাড়িসহ তার প্বার্শবর্তী দুটি বাড়ি থেকে জীবন্ত অবস্থায় বড় আকারের ৪টি ও ছোট ৭টি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিনে আরও ৬টি বিষধর সাপ আমাদের হাজী বাড়ির বাসিন্দারা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এই সাপ গুলোর মধ্যে দাড়াইশ, গোখরো এবং কালী ফানক সাপ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমার স্বামী মৃত: মেজর এম এফ রহমানের এই বাড়ীটি অনেক পুরানো। বেশ কিছুদিন যাবৎ বাড়ীতে সাপ দেখে আমি আতঙ্কিত হচ্ছিলাম। পরে এক সাপুড়েকে ডেকে এনে বাড়ীর বিভিন্ন স্থান থেকে সাপগুলো উদ্ধারের ব্যবস্থা করি। সাপুড়ে বলেছনে বাড়ীতে এখনো বড় ২/৩ টি সাপ রয়েছে তাই আতঙ্কে আছি।
এ বিষয়ে সাপুড়ে সর্পরাজ মোঃ সাহাবুদ্দিন কবিরাজ বলেন, খিড্ডা গ্রাম থেকে প্রায় ৬ হাত লম্বা ১টি কালি ফানক, প্রায় ৮ হাত লম্বা ১টি দুধরাজ ও ১টি বড় সাইজের কালী ফানকসহ ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১৭টি বিষধর সাপ উদ্ধার করেছি। আমরা মোট ৬ জনের সাপুড়ের টিম এই সাপ ধরার অভিযানটি পরিচালনা করেছি। একটি বড় বিষধর গোখরো সাপ তার বিষ আমার চোখে ছুঁড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমি এতে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমার সাথীরা আমাকে কচুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছি।
সাপুড়ে সর্পরাজ মোঃ সাহাবুদ্দিন কবিরাজ আরও বলেন, সেনাকর্মকর্তার বাড়ীর বড় সাপগুলোর মধ্যে ২টি স্ত্রী সাপ ধরা পড়লেও আমরা পুরুষ সাপ ধরতে পারিনি। কারন সেদিন পুরুষ সাপ ২টি বাড়িতে নেই। সেই গুলো আহারের জন্য হয়তো ওইদিন বাহিরে গেছে। দ্রুতই আমরা সেগুলো উদ্ধারে পুনরায় অভিযান দিবো।
এদিকে বিষধর পুরুষ সাপ বাড়ীতে রয়েছে এটি শুনার পর থেকে আতঙ্কে বাড়ীতে থাকছেন না অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা রাজু। স্থানীয়রা এই সাপ আতঙ্ক দূর করতে দ্রুত প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।