অমরেশ দত্ত জয়ঃ পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার মিলনস্থল চাঁদপুরের ত্রিনদী মোহনা ভ্রমণের চাহিদা মিটাচ্ছে ৪৫টি মিনি স্টিলবডী ট্রলার। তবে এগুলোর সাথে কিছু কাঠের নৌকা ও বেশ কয়েকটি স্পীডবোটও চলাচল করছে।
১০ জুলাই সোমবার বড়ষ্টেশন মোলহেডে গেলে ভ্রমণপিপাসুরা এসব কথা জানিয়েছেন।
আল আমিন নামের এক ভ্রমণ পিপাসু বলেন, এই স্টিলবডি ট্রলার ও ছোট নৌযানগুলো দিয়ে ত্রিনদীর মোহনা দারুনভাবে উপভোগ করা যায়। বিশেষ করে নদীর মাঝখানে গিয়ে স্টিলবডি ট্রলার থামিয়ে নদীর জলের ঢেউ, রং, শব্দ একটা চমৎকার অনুভূতি দেয়। আর উপরের খোলা মেঘময় আকাশ দেখা সত্যিই অসাধারণ মুহুর্তের জানান দেয়।
স্মৃতি নামের আরেক নারী ভ্রমণ পিপাসু বলেন, এই স্টিলবডী ট্রলারগুলো দিয়ে নদীর এপাশ ওপাশ ঘুরে ঘুরে দেখা যায়। বিশেষ করে ত্রিনদী মোহনায় গেলে স্টিলবডি ট্রলারগুলো থেকে ৩টি নদীর মিলনস্থল এবং ৩টি নদী যে পৃথক তা জলের রং ও আকার দেখে বুজা যায়। সেই সাথে সারাক্ষণ বাতাসময় এই জায়গাটি যেকারো মনে প্রশান্তি দিবে।
ঢাকা থেকে আগত মাহী বলেন, ইউটিউব দেখে বন্ধুদের নিয়ে ত্রিনদী মোহনায় ঘুরতে এসেছে। ট্রলারে করে নদীতে যেয়ে এটি অনেকক্ষণ থামিয়ে রেখে প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর্য উপভোগ করলাম। মাঝে মাঝে নদীতে ভেসে উঠা হু মাছের লাফ ভেল্কি দারুন দৃষ্টি নন্দন। আর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এখানকার ট্রলার চালক ও মাঝি মাল্লারা যথেষ্ট আন্তরিক ও ভদ্র। সত্যিই ইলিশের বাড়ী চাঁদপুরে ভ্রমণে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করছে এখানকার স্টিলবডী ট্রলারসহ ছোট নৌযানগুলো।
জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই স্টিলবডী ট্রলারগুলো মোলহেডের বটগাছ তলে নদী পাড়ে অপেক্ষমান থাকে। যেগুলোতে ভ্রমণপিপাসুরা গণহারে গেলে ৫০ টাকা থেকে ব্যক্তি উদ্যোগে গেলে ঘন্টা প্রতি ভাড়া ৪শ’ টাকা দিতে হয়। আর নিরাপদ ভ্রমণ যাত্রা দিতে এই স্টিলবডী ট্রলার চালকগণ একটি সমিতি খুলে নিয়েছেন। যারা সুশৃঙ্খলভাবে ভ্রমণযাত্রায় সহায়তা করেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের মোহনা স্টিলবডি মালিক সমবায় সমিতি সভাপতি মোঃ জান শরিফ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক জাকির বেপারী বলেন, দূর দূরান্ত থেকে ইলিশ খেতে এবং ত্রিনদী মোহনা ও চর দেখতে নদী ভ্রমণে যারা বড়ষ্টেশনে আসেন। তাদের সাথে যাতে স্টিলবডি ট্রলার চালকরা ভালো ব্যবহার করেন এবং সবসময় লাইফ জ্যাকেট ও রিং বয়া ভ্রমণে ব্যবহার করেন। একই সাথে যাতে অতিরিক্ত ভ্রমণপিপাসু ট্রলারে না উঠিয়ে ফেলেন। সেগুলোর সুশৃঙ্খল পরিবেশ রাখতেই আমরা আমাদের সমিতির মাধ্যমে কাজ করি। চর এলাকাসহ আমাদের বড়ষ্টেশনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সমিতির ৩০ জন সদস্য একযোগে সবসময় তৎপর থাকেন।