... বিস্তারিত
চাঁদপুরের মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়
অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তরে প্রায় ৬০ একর জায়গা জুড়ে মেঘনার তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে নরনারীর পদচারণার ঢল বইতে শুরু করেছে। দুরদূরান্ত থেকে নদী ও স্থলযোগে আগত এসব পর্যটকরা এখানে এসে সেলফি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
৬ই ডিসেম্বর রোববার সরজমিনে পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, এখানে চলতি অক্টোবর মাস হতে ২০টির মতো বীচ বেড বসানো হয়েছে। আরো রয়েছে খোলা মাঠ, বালু প্রান্তর ও ভ্রাম্যমান চটপটি-ফুচকা, আচার, চকলেট, চা ও মুড়ি বিক্রেতার হরেক রকমের ছোট ছোট দোকান। যা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান নেওয়ায় ১৭টি বাতির মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা রয়েছে।
মোহনপুর ইউনিয়নের ১নং ইউপি সদস্য বিল্লাল তপাদার জানান, মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রের অবকাঠামোগত কাজ চলছে। এর মধ্যে রাস্তা, বনায়ন, থিম পার্ক(হুইল, প্রাস ট্রেন, হর্স), সেন্ট্রাল এসিযুক্ত রেষ্টুরেন্ট করা হচ্ছে।যেখানে ৫’শ লোক একসাথে বসে বুফে এবং বারবিকিউ আইটেমের খাবার খেতে পারবে।
মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রের ম্যানেজার কাজী জাকির জানান, ওয়েল ইকুয়েভমেন্টের মাধ্যমে ৫ টি পাঁচ তারকা কটেজ, ফুডকোর্ড, বার্মিজ, ঝিঁনুক এবং ফাস্টফুুড আইটেম মোট দেড়’শ দোকানসহ বিলাসিতাময় মার্কেট, ২’শ বেডরুমসহ তিন তারকা আবাসিক হোটেল, মিনি চিড়িয়াখানা ও ৩টি বীচ নির্মাণাধীন রয়েছে। এগুলো সব হয়ে গেলে এটি দেশের অন্যময় পর্যটন কেন্দ্র হবে। তখন হয়তো এখানে ঢুকতে গেলে ১০ বা ২০ টাকার মতো ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
এখানে ঘুরতে আসা পর্যটক ফাতেমা, প্রান, রাশেদ, বাপ্পী, সজল, মুন্না, উজ্জ্বলসহ আরো অনেকে জানান, কুয়াকাটার মতো এখানেও সূর্যদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। বিকালে মনোরম পরিবেশে নদীর কিনারায় হাঁটতে বেশ উপভোগ সময় কাটানো যায়। তাই দূর দূরান্ত সীমানা অতিক্রম করে পর্যটকদের সাথে আমরাও ঘুুুরতে এসেছি। দুুপুরে এখানে এসে নদীতে গোসল করতে নেমে খুব ভালো লাগছে। তবে কিছুটা নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। কেননা এখানে টয়লেট বা ড্রেস চেঞ্জ করার মতো তেমন ভালো কোন ব্যবস্থা এখনো করা হয়নি।
এ ব্যপারে মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্রের স্বপ্নদ্রষ্টা কাজী মিজানুর রহমান জানান, এখানে দ্রুতই আরমির একজন সাবেক মেজরের মাধ্যমে ১’শ সিকিউরিটি সার্ভিস গড়ে তোলা হবে। এরসাথে নদীতে নানা রকমের রাইডের ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, ড্রেস চেঞ্জের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং ইয়ার্ড, সেলফি জোনের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় টানা ৩ ঘন্টা আতশ বাজীর মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
কাজী মিজানুর রহমান আরো জানান, এখানে ৬০ একর জমির মধ্যে ৩০ একর আমাদের নিজেদের। সেখানেই আমরা পর্যটনের সব অবকাঠামো নির্মাণ করবো। বাকি ৩০ একর জমি পাউবোর থেকে লিজের জন্য আবেদন করেছি। সেটি লিজ পেলে রাস্তা ও বনায়নের কাজ শুরু হবে। আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে এখানে টুরিস্ট পুলিশ দেওয়ারও আবেদন জানাচ্ছি।