অমরেশ দত্ত জয়ঃ নদী বেষ্টিত ইলিশের বাড়ী চাঁদপুরের লঞ্চ ও জাহাজগুলোর বদৌলতে কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। আর তাই নৌপথের এই রুটটিকে আশির্বাদ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর কার্যালয়ে গেলে এক আলোচনায় এসব তথ্য উঠে আসে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মনোরম পরিবেশ ও নিরাপদ নৌ যাত্রায় আশির্বাদ হচ্ছে চাঁদপুর জেলা। এখানকার ঢাকাতিয়া, পদ্মা, মেঘনা ও ধনাগোদা নদীগুলো সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি থাকায় সব জনসংনেই এটি আমদানি রপ্তানীর নার্ভ। বিশেষ করে ঢাকা চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ চাঁদপুর, বরিশাল চাঁদপুর এবং ঢাকা বরিশাল নৌপথের মূল জনসংন হচ্ছে চাঁদপুর।
এক তথ্য দেখা যায়, চাঁদপুরের নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চ ও জাহাজগুলো হতে প্রতিবছর শুধুমাত্র মালামাল পরিবহন চার্জ হিসেবেই ৩৫ লাখ টাকা আয় করছে বিআইডব্লিউটিএ। এমন হিসেবে গেলো ৫ বছরে এই নৌপথে চাঁদপুরের আয় প্রায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। আর তাই নৌপথের আয়ের এই আশির্বাদকে কাজে লাগাতে নানা ইস্যু নিয়ে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের ময়ূর-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার মোঃ আজগর বলেন, সড়ক মহাসড়কের উন্নয়নে চাঁদপুরের লঞ্চগুলোতে যাত্রী তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু যারা লঞ্চে যাওয়ার তারা নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রা হিসেবে লঞ্চেই যাতায়াত করছে। তবে গুলিস্থান হতে সদরঘাট এলাকার সড়ক যদি যানজটমুক্ত রাখা যায়। তাহলে শুধু মালামাল পরিবহনই নয় বরং যাত্রী পরিবহনেও লঞ্চগুলো আশার আলো খুঁজে পাবে।
এসব বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদকেন্দ্রীক সময়বাদে লঞ্চগুলোতে যাত্রী পরিবহন স্বাভাবিকই রয়েছে। যাত্রীদের সাথে ভালো ব্যবহার, কেবিনগুলোতে পানিসহ হাল্কা নাস্তার সুযোগ এবং ভাড়া কিছুটা কম নিলে যাত্রী বাড়বে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এটা না করায় লঞ্চগুলোতে যাত্রীরা আসতে উৎসাহিত কম হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই রুটগুলোতে সব জংসনে চাঁদপুর একটা নার্ভ হিসেবে কাজ করে। তাই এখানকার লঞ্চ ও জাহাজগুলো হতে বছরে ৩৫ লাখ টাকা শুধু মালামালের কেরিং চার্জ হিসেবেই আমরা রাজস্ব পাচ্ছি। এই আয় বাড়াতে লক্ষীপুর, নোয়াখালী, ফরিদগঞ্জের যাত্রীদের টার্গেট করে শীঘ্রই ইচুলীঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। সব মিলিয়ে চাঁদপুর আধুনিক নৌ বন্দর সম্পন্ন হলে ইলিশের বাড়ীর এ জেলার নৌপথ অর্থনীতিতে দারুন অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করি।