অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর রুটে রেলগাড়িতে করে ইলিশ পরিবহন প্রায় এক দশক বন্ধ। এতে সড়ক পথে ইলিশ পরিবহনে মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে নতুন ইঞ্জিন ও ফ্রিজিং কোচ আমদানি প্রক্রিয়া শেষ হলেই রেলযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ পরিবহন করা সম্ভব জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
১৩ আগস্ট শনিবার সকালে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, ইলিশের বাড়ী চাঁদপুর হতে এক সময় দেশের সিলেট ও ময়মনসিংহসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে রেলযোগে ইলিশ পৌঁছানো হতো। ২০১৩ সাল থেকে ইঞ্জিন সংকট এবং ওয়াগনের কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বিকল্প হিসেবে ট্রাক ও ট্রলিতে ইলিশ পরিবহন করতে গিয়ে তাদের খরছ অনেক বেশি গুনতে হচ্ছে।
চাঁদপুর মৎস্য বনিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত বলেন, চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এই ল্যান্ডিং জোনে ইলিশ মাছ লোডিং আনলোডিং করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। এখানে রাস্তায় পর্যাপ্ত গাড়ী রাখা যায় না। রেলের মাল গাড়ীর পরিবহন বন্ধ থাকায় আমাদের মৎস্য ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়তই চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে।
চাঁদপুর মৎস্য বনিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বলেন, ব্রিটিশ আমলে সড়ক পথ, রেলপথ ও নৌপথের বিশেষ সুবিধা থাকায় এখানে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি গড়ে উঠে। যা থেকে সরকারের আয় হতো প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব। সুতরাং বলতে চাই পুনরায় ট্রেন যোগে ইলিশ রপ্তানি চালু করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। তাই দ্রুত ইলিশ পরিবহনের জন্য হলেও এই রেলপথে বিশেষ মালগাড়ী পুনরায় চালুর দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাষ্টার সোয়াইবুল সিকদার বলেন, পর্যাপ্ত পরিমান ট্রেন থাকলে অবশ্যই এখান থেকে রেলযোগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেমন সিলেট, ময়মনসিংহসহ অন্যান্য স্থানে ইলিশ মাছ পরিবাহিত করা যেতো। কিন্তু পর্যাপ্ত ট্রেন নেই। বিদেশ থেকে ইঞ্জিন ও ফ্রিজিং কোচ আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে পুনরায় এখান হতে ট্রেনযোগে ইলিশ পরিবহন করা সম্ভব হবে।