... বিস্তারিত
চাঁদপুরে ছিনতাইকারী পতিতা সর্দার নিমা বেগম এবং তার সহযোগী কালু আটক
অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর শহরে ছিনতাইকারী চক্রের পতিতা সর্দার নিমা বেগম (২৫) সহ তার সহযোগী প্রান্ত দাস কালু কে আটক করেছে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ।
১’লা এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়।
এর আগে প্রথমে নিমা বেগম এবং পরে তার সহযোগী প্রান্ত দাস কালু (২২) কে অবরুদ্ধ করে চাঁদপুর কমিউনিটি পুলিশ ও সচেতন জনতা। এরপর পর্যায়ক্রমে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, পুরানবাজারের মধুসূধন হাই স্কুলের পাশে নিমা বেগমের বাসা। তার স্বামী রনি। নিমা বেগম দেহ ব্যবসার খদ্দের জোগাতে প্রায়ই রেলওয়ে কোর্ট স্টেশন, কালীবাড়ি, লঞ্চঘাট, সায়াবানী, চিত্রলেখাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। এমনি অপকর্মে রনি নামের আরেক লম্পটের সাথে তার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর দু’জনে দেহ ব্যবসার অন্তরালে ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, ব্লাক মেইল করাসহ সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করতো।
আর নিমা বেগম এর স্বামী রনি ছাড়াও এই সিন্ডিকেটে আরও একাধিক দেহব্যবসায়ী নারী জড়িত রয়েছে। যারা দিনে রাতে ফাঁদে ফেলে সাধারণ যুবকদের সর্বোস্ব লুটে নেয়।
স্থানীয় নয়নসহ একাধিক লোক জানায়, আদালত পাড়ার চন্দন দাসের ছেলে প্রান্ত দাস কালু। নীমা বেগমের ডান হাত সে। কখনো পুলিশের সোর্স, কখনো রিক্সা চালক, কখনো বা অটো চালক পরিচয়ে শহরে তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তবে তার মূল পেশা ইয়াবা ব্যবসা এবং ছিনতাই করা।অত্যান্ত কৌশলী এই যুবকের হাতে রয়েছে একাধিক সুন্দরী নারী। যাদের সুন্দর্যের ফাঁদে ফেলে তরুন যুবকদের আকৃষ্ট করে মানসম্মান নষ্ট করাসহ সর্বশান্ত করাই তার মূল পেশা। তার বিরুদ্ধে থানায় ইতিপূর্বেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, নীমা বেগম এবং প্রান্ত দাস কালুর নানা অপকর্মের আরেক সহযোগী জামতলা এলাকার মনা। তার কাজ হচ্ছে নীমা ইভটেজিং করছে বলে চেচাতে শুরু করবে। এরপর নারীর ইজ্জত বাঁচাচ্ছে এমন ভাব করে দৌড়ে এসে অসহায় যুবকদের কিল-ঘুষি মেরে পকেট থেকে টাকা পয়সা, মোবাইল, ঘড়িসহ যাবতীয় কিছু নিয়ে চোখের পলকে উধাও হওয়া।
এসব কথা সাংবাদিকদের বর্ণনা করলেন ক্ষতিগ্রস্থ রুবেল পেদা(২৫) নামের ফাঁদে পরে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ওই যুবক। তিনি হাইমচর নয়য়ানি পেদাবাড়ীর বাসিন্দা।
এসব কথা আরও নিশ্চিত করেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক সুফী খায়রুল আলম খোকন। তিনি জানান, খবর পেয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের অঞ্চল-৩ এর টহল সদস্য মনির হোসেন কে ঘটনা স্থলে পাঠিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রুবেল পেদা এবং ছিনতাই কারী নীমা বেগম কে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কার্যালয়ে নিয়ে আসি।
কার্যালয়ে এনে ছিনতাই কারী নীমা বেগমের ব্যাগ থেকে ২৫’শ টাকা ( ৫০০ টাকার ৫ টি নোট) ও টাচ মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করি। এরপর থানায় ফোন করে পুলিশ এনে রুবেল ও আসামী নীমা বেগম দুজনকেই আইনের হেফাজতে পাঠিয়ে দেই।পরবর্তীতে প্রান্ত দাস কালুর খোঁজ পেয়ে তাকে অবরুদ্ধ করেও থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। কিন্তু ওদের সহযোগী মনা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে আমি এবং আমার টহল বাহিনীর সদস্য মনির হোসেন এ ঘটনার সাক্ষী হয়ে বাদী রুবেল পেদাকে নিয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নেই।
এ ব্যপারে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আবদুর রশীদ বলেন, আসামী মনাকে দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে। নীমা বেগম এবং প্রান্ত দাস কালু চিহ্নিত আসামী। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।