চয়ন ঘোষঃ চাঁদপুরে জনৈপুরী বাসের বেপরোয়া গতিময় ধাক্কায় সিএনজিতে থাকা ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। এরমধ্যে ২ সন্তানের এক জননীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে।
২৭ মে শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় কালিভাংতি নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশীদ।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত ২ সন্তানের জননীর নাম রানু বেগম(৩৮)। তিনি মতলব দক্ষিণের উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বহরি গ্রামের মেয়ে এবং সুমন খানের স্ত্রী। তাঁর পিতা হচ্ছেন আব্দুল মান্নান ও মাতা ফিরোজা বেগম।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রানু বেগমের শাহারিয়া(১০) নামে একটি ছেলে ও সুবর্ণা(৭) নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার স্বামী সুমন খান ঢাকা আশুলিয়া ঘোষভাগ সাউথ পয়েন্টে ট্রেনিং সেন্টারে কাজ করেন। নিহত রানুসহ অন্যান্য যাত্রীরা মুন্সিরহাট থেকে সিএনজিযোগে বাবুরহাট আসছিলেন। এরমধ্যে কালিভাংতি নামক স্থান অতিক্রমকালে জৈনপুরী বাস বেপোরোয়া গতিতে ধেয়ে এসে সিএনজিতে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। আর এতেই ঘটনাস্থলে রানু বেগম নিহত হয় এবং অন্যান্যদের দ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিষয়টি অবগত জানিয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশীদ বলেন, খবর পেয়েই নিহতের লাশ থানায় নিয়ে এসেছি। জৈনপুরী বাস এবং এর চালককে আটক করতে পুলিশ কাজ করছে। দুমরে মুচরে যাওয়া সিএনজিটি হেফাজতে নিতেও পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। নিহতের পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আইনী সহযোগিতা করা হবে।