অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ট্রলার ডাকাতির ঘটনার তথ্য অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম।
১৪ এপ্রিল শনিবার এ ঘটনায় মামলা দায়ের পর পরই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে ঘটনায় জড়িতদের তথ্য। আর এতেই হীতের বিপরীতে মোড় দিচ্ছে ঘটনা।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশীদ বলেন, এ মামলার বাদী হচ্ছে ট্রলারের মালিক কাদির বেপারী। অতছ তার স্থান থেকেই ১৩৪ বস্তা চিনি উদ্ধার হলো। তাহলে বিষয়টি সাজানো নাটক এটাই মনে হচ্ছে। তবুও চূড়ান্ত তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা খবর পেলাম ৪০ ড্রাম তেল ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়ে গেছে। হয়তো বিষয়টি নিয়ে এই ডাকাতির ঘটনায় কারা নৌপথে আইন শৃঙ্খলার অবনতি করার পায়তারা করে এসব করে। তাদের উৎখাত করা সম্ভব হবে। তবে দ্রুত একটা রেজাল্ট দিতে পুলিশের একাধিক টিম তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে।

জানা যায়, নারায়গঞ্জ থেকে কেনা খুলনার ব্যবসায়ীদের চিনি ও ভোজ্য তেল পরিবহনকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর দশানি লঞ্চঘাট এলাকায় ডাকাতি হয়। এতে ট্রলারে থাকা ৫ জন শ্রমিককে হাত পা বেধে নদীর পাশের চরে ফেলে রেখে ৩৩০ ড্রাম ভোজ্য তেল (সয়াবিন) ও ৬শ’ বস্তা চিনি ট্রলার থেকে ডাকাতরা নিয়ে যায়। যদিও এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় ডাকাতি হওয়া ১৩৪ বস্তা চিনি সদরের বিষ্ণপুর ইউনিয়নের কানুদী বাজার এলাকা হতে চাঁদপুর সদর থানা পুলিশ এবং ৪০ ড্রাম ভোজ্যতেল কুমিল্লার দাউদকান্দি থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হচ্ছেন ট্রলারে থাকা মুকবুল গাইয়ুম, মোহাম্মদ হোসেন গাজী, মনির হোসেন, আবুল হোসেন ও জয়নাল আবেদীন।
ডাকাতি হওয়া মালের মালিকদের মধ্যে খুলনার ব্যবসায়ী সোনালী এন্টারপ্রাইজের প্রদীপ সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ট্রলারে থাকা মালগুলো সায়েব ব্রাদার্স, সাহা ট্রেডিং, সাহা ট্রেডার্স, নিপা এন্টারপ্রাইজ, আরএম এন্টারপ্রাইজ, তপন ট্রেডার্স, রাজীব ট্রেডার্স, ইলিয়াস স্টোর ও সিরাজুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীর। চিনি ও ভোজ্য তেল নারায়নগঞ্জ থেকে ক্রয় করে আমরা খুলনায় ট্রলারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ডাকাতি হয়। এতে আনুমানিক ৬ কোটি টাকার মাল ছিলো বলে ধারণা করছি।
মতলব উত্তর উপজেলার বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কবর আলী খান বলেন, গত ১২ এপ্রিল বিকেল ৫ টায় নারায়নগঞ্জ থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পন্যবাহী ট্রলার মতলব উত্তরের দশানী লঞ্চঘাট এলাকায় আসলে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হামলার কবলে পড়ে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ডাকাতির মালামাল এবং ডাকাতদের ধরতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সন্দহের তীর অনেকদিকেই যাচ্ছে। যারা নৌ পথে তেল ও পণ্য ব্যবসায় জড়িত তারা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত কিনা খতিয়ে দেখে মামলার তদন্ত কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য সবার সামনে উন্মোচন করতে পারবো।