মনির হোসেন খানঃ চাঁদপুর শহরের প্রফেসার পাড়ার ভেতর নান্নু বকাউলের বাড়ীর সামনে তিন রাস্তার মোড়ের বিদ্যুতের খুঁটিটির জন্য স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল ও পথচারি চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যে, প্রফেসার পাড়ার নান্নু বকাউলের বাড়ীর সামনে মমিন পাড়া সড়ক, বামে মাঝি বাড়ী সড়ক, আর ডানে প্রফেসার পাড়া সড়ক মিলিয়ে তিন রাস্তার মোড়। সে মোড়ের ঠিক মাঝ বরাবর বিদ্যুতের একটি বড় খুঁটি রয়েছে। আর এই খুঁটিটির জন্য এ সড়ক দিয়ে চলাচল কারি ছোট বড় সব যানবাহনকে অত্যন্ত বেগ পোহাতে হয়।
এ মোড়টি একটু সরু হওয়ায় এখানে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ঢাকা হতে আসা ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জগামী লঞ্চ যাত্রিদের নিয়ে অনেক সি,এন,জি চালক মমিন পাড়ার এ পথটি ব্যবহার করে থাকেন। শহরের যানজট এড়িয়ে যাত্রী পারাপারে তারা শর্টকাট হিসেবে মমিন পাড়ার এ সড়কটিই বেশি ব্যবহার করে থাকেন।
একসাথে একাধিক সি,এন,জি এই মোড়ে আসলেই তৈরি হয় যানজটের। ফলে বাড়ে এলাকাবাসির ভোগান্তী। অত্র এলাকায় কিছু বহুতল ভবন নির্মান করতে দেখা যায়।
নির্মানাধীন একটি ভবনের মালিক আব্দুল্লাহ জানালেন যে, বাড়ীর নির্মান সামগ্রী ছোট খাটো ট্রাকে করে আনতেও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় বিদ্যুতের এই খুঁটিটির জন্য। সি. এন. জি চালক আকবর হোসেন ও জালাল উদ্দিন জানালেন যে, এ সড়কটির মাঝখানের খাম্বাটি সরালে তাদের গাড়ী চলাচলে অনেক সুবিধা হবে।
স্হানীয় বাসিন্দা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আলাউদ্দিন চৌধুরী, সাগর হোসেন ও টিটুর সাথে এ বিষয়ে আলাপকালে তারা জানালেন যে, বিদ্যুতের এই খুঁটিটির জন্য প্রায়ই এখানে ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে। একসাথে একাধিক গাড়ী এ গলিতে ঢুকতে পারেনা শুধু মাত্র এ খুঁটিটির জন্য।
তারা আরও জানান যে, স্হানীয় বাসিন্দাদের অনেকের ব্যক্তিগত গাড়ীও আসা যাওয়ায় অনেক বেগ পোহাতে হয়। তারা বলেন বিদ্যুতের এই খুঁটিটি সামান্য একটু স্হানান্তর করলেই এ গলির যানজট নিরসন সহ এলাকাবাসির অনেক উপকার হয়। অত্র এলাকাবাসীর দাবী বিদ্যুতের এই খুঁটিটি যেনো তিন রাস্তার মোড় হতে দ্রুত স্হানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে তারা চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও চাঁদপুর পৌর মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।