অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় থেমে নেই রাতের আধারে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। প্রতিনিয়ত বালু সিন্ডিকেট প্রশাসনের নিরব ভূমিকাকে কাজে লাগিয়ে নদীর নানা স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
৬ আগষ্ট রোববার এই অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নৌ পুলিশের এক সাঁড়াশি অভিযানে ৬২ জনকে আটক করা হয়েছে।
নৌ পুলিশ ও সূত্র মতে, গেলো কয়েক বছর যাবৎ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে ইলিশের ডিম নষ্ট হওয়ায় ইলিশ প্রজনন ধ্বংসের দারপ্রান্তে চলে গেছে। এজন্য এখন চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ সংকট। একই সাথে বর্ষায়ও নদী ভাঙ্গণ ভয়াবহভাবে বাড়ছে। আর এসব খবর প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমকর্মীরা খবরের শিরোনাম করছে। আর এতেই নৌপুলিশ আপোষহীনভাবে অবৈধ বালুউত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন,পদ্মা-মেঘনায় বালু উত্তোলন করে বিক্রির সরকারি কোন অনুমতি নেই। তাই আমরা মোট ৬টি টিম অংশ নিয়ে চাঁদপুর-শরীয়তপুর-হিজলা সীমান্তে অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা শুধুমাত্র গেলো রাতেই বালু কাটা অবস্থায় ৩টি ড্রেজার আটক করি। এছাড়াও নদীতে রাত্রী বেলা এসব ড্রেজার থেকে বালু পরিবহনকারী ২৮ টি বাল্ক হেডসহ সর্বমোট ৬২ জনকে আটক করেছি। এদের মধ্যে অনেকেই ড্রেজার চালক, শ্রমিক ও কর্মচারী রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। তবে এই বালু সিন্ডিকেটের মূল হোতা কে বা কারা এ নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
এসময় নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. তোফাজ্জল হোসেন, চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান, আলুর বাজার পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ কে এম মনিরুজ্জামান, নীলকমল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।