স্টাফ রিপোর্টারঃ পদ্মা-মেঘনা নদীতে বেপোরোয়াভাবে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চললেও তা বন্ধে প্রশাসনের তৎপরতা তেমন না থাকায় আবারও ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ।
৩০ মে মঙ্গলবার জেলা শ্রমিকলীগ আয়োজিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এতে প্রশাসনের উদ্দ্যেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলে ছিলেন। তখন তিনি কথা দিয়েছিলেন যদি তার দল ক্ষমতায় আসে। তাহলে এই চাঁদপুরের ষাটনল থেকে হাইমচর পর্যন্ত অবৈধভাবে নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করবেন। আর তিনি সেই কথা রেখেছেন। অতএব আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো। আপনারা কোন প্রভাবশালীকে তোয়াক্কা না করে বীর দর্পে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তৎপরতা চালান। এক্ষেত্রে অন্যায়কারী যেই হউক তাকেই আইনের আওতায় আনুন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, পদ্মা মেঘনায় যেভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে তা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা আওয়ামীলীগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তাই জেলা প্রশাসনকে বলবো আপনারা এই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনুন। প্রয়োজনে আমাদের পক্ষ থেকে আপনাদের যেকোন সহযোগিতা করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন শুরু হচ্ছে। এক্ষেত্রে দলের হউক আর প্রশাসনের লোকই হউক আমরা সবাইকে চিনি। অবিলম্বে যদি এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসনের কার্যকরী ভূমিকা না দেখি তাহলে আমরা এর জবাব দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণকে সাথে নিয়ে মাঠে নামবো।
এদিকে চাঁদপুরের জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, সদস্য অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণ একই সুরে বলেন, উচ্চ আদালত কর্তৃক ঘৃণিত চেয়ারম্যান সেলিম খানকে বালু উত্তোলনে প্রশাসনিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেলিম চেয়ারম্যানের অবৈধ বালু উত্তোলনে সরকারের যে ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতিপূরণের হিসাব তার কাছ থেকে আদায়ের জন্য জেলা প্রশাসনকে সুপ্রীম কোর্ট নির্দেশনা দিলেও তা উপেক্ষিত। উল্টো নদীতে বালু মহাল সৃষ্টি করে আবারও সেলিম খান গংদের কোটি কোটি টাকা বানানোর সুযোগ দিতে প্রশাসনের একটি পক্ষ অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই কারো অন্যায়ের দায়ভার জেলা আওয়ামীলীগ কখনোই নিবে না।
জাতীয় শ্রমিক লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এসময় শ্রমিকলীগ ছাড়াও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।