স্টাফ রিপোর্টারঃ ইলিশের বাড়ী চাঁদপুরের সুনাম রক্ষায় নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জাটকা রক্ষায় নদীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটছেন সদরের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান।
১৮ মার্চ শনিবারও বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি টাস্কফোর্সের সাথে নদীতে বিরামহীন অভিযান চালিয়েছেন।
এসময় শহরের মোলহেড হতে আনন্দ বাজার, মিনি কক্সবাজার হয়ে ইশানবালা ও কাটাখালী সংলগ্ন মেঘনা নদীতে তিনি অসাধু জেলে ও অবৈধ জাল উদ্ধারে চষে বেড়িয়েছেন। আর তার সাথে অভিযানে জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর সদর মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড এবং নৌ পুলিশের সমন্বিত টিমও ছিলো।
এদিনে সম্মিলিত এ অভিযানে চাঁদপুর সদরের আনন্দবাজার থেকে ৫ জন জেলে এবং হাইমচরের ঈশানবালা ও কাটাখালি এলাকা থেকে ২২ জন জেলেকে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা নিধন কালে আটক করা হয়। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান সরকারের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্টে আটককৃত জেলেদের বয়স বিবেচনায় ৫ জন নাবালককে মুচলেকায় ছাড়া হয় এবং ২২ জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
আসামীদের নাম সম্পর্কে চাঁদপুর সদরের সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের আটককৃত টিলাবাড়ীর মেহেদী হাসান(৮), বহরিয়ার আরিফ বেপারী(৮), শাকিল(১৩), পারভেজ(১২) ও নাইম(১১) কে কম বয়স হওয়ায় মুসলেখায় মুক্তি দেওয়া হয়।
মোঃ মিজানুর রহমান আরও বলেন, তবে ১ মাস করে বিনাশ্রমপ্রাপ্ত ২২ জন আসামী হচ্ছেন তরপুরচন্ডীর হযরত আলী, টিলাবাড়ির মরন আলী, জনি, সুমন, শরিয়তপুরের তারাবুনিয়ার দর্জিকান্দির জালাল, শাওন, নাজমুল হোসেন, সেলিম মাঝি, হসকিম মাঝি, শরিয়তপুরের ঘোষেরহাটের চর জালালপুরের নুর মোহাম্মদ, আঃ হাকিম ও রায়হান, সখিপুরের সুফিয়ান তালুকদার, হানিফ খান, আলামিন বেপারী এবং সদরের ইব্রাহীমপুরের মোঃ আহসানসহ অন্যান্যরা। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।