অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর নদী বন্দরের নৌ টার্মিনালটি আধুনিক না হওয়া এবং নানা অব্যবস্থাপনার কারনে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অথছ প্রতিদিন এই অস্থায়ী টার্মিনালটি দেশের বরিশাল, সিলেট, ঢাকা, শরিয়তপুর, খুলনাসহ বিভিন্ন রুটের লঞ্চ যাত্রীগণ তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে ব্যবহার করছেন। তবে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তড়িৎ গতিতেও নিচ্ছে না কোন কার্যকরী পদক্ষেপ।
৩’রা নভেম্বর মঙ্গলবার সরজমিনে নৌ টার্মিনালটি ঘুরে জানা যায়, চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২৪টি লঞ্চ। যেগুলোতে করে চাঁদপুর হয়ে যাত্রীদের যাওয়া আসায় গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার যাত্রী এই টার্মিনালটি ব্যবহার করছে। আর এতে নানা ভোগান্তির মধ্য দিয়ে লঞ্চে উঠতে-নামতে হচ্ছে যাত্রীদের। তার উপর পল্টুনে পৌঁছাতে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ১০ টাকা। অথছ প্রতিবার অফেরতযোগ্য টাকা নিয়েও সংশ্লিষ্ট বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ নূন্যতম যাত্রীসেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
যাত্রীগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যাত্রীদের পারাপারে পল্টুনে ৩টি গ্যাং ওয়ে থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্র ১টি। তার ওপর রাতে জেনারেটরের মাধ্যমে পল্টুনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও করা হয়নি। এতে করে প্রায়ই মাদক ব্যবসায়ী,ছিনতাইকারী,চোর চক্রের কাছে হয়রানিসহ সর্বশান্ত হারাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
যাত্রীরা আরো জানান, একটু বিশুদ্ধ পানি পান করবে সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়নি পল্টুনে। অপর্যাপ্ত প্রশস্ত পল্টুনে নানান ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতা, রুটি বিক্রেতাসহ হকারদের দৌড়াত্ম্যে যাত্রীদের দাঁড়ানোর মতো অবস্থা নেই। যাত্রী ছাউনিটির একাংশ পর্যন্ত ফল ব্যবসায়ীর দখলে।এমনটি পুরো টার্মিনালে ইজারাবিহীন অবৈধ দোকান গড়ে উঠে পরিবেশ লঞ্চ ঘাটটির পরিবেশ বিনষ্ট করে ফেলেছে। তার উপর লঞ্চ থেকে নেমে অনিয়ন্ত্রিত সিএনজি ও ইজিবাইক চালকদের টানাহেঁচড়া ও ডাকাডাকিতে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয় যাত্রীদের।

তবে শতভাগ যাত্রীসেবা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের প্রকৌশল বিভাগের সহকারী মো. সালাহউদ্দিন জানান,আমরা দ্রুত ছোট ছোট সমস্যাগুলো উর্দ্ধতনের সাথে আলাপ করে সমাধান করে ফেলবো।
এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম।তিনি জানান,যাত্রী ছাউনিটি মেরামতের কাজ চলছে।আর সিএনজি অটোচালকদের নিয়ন্ত্রণে আনারও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।আর বাকি সমস্যাগুলো আধুনিক নৌ টার্মিনাল হয়ে গেলে সমাধান হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছি।
তবে আর যেন প্রতিশ্রুতি শুনতে চাচ্ছেন না চাঁদপুর নদী বন্দরের নৌ টার্মিনাল ব্যবহারকারী যাত্রীগণ। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চান সচেতনমহলসহ সবাই।
