মহসীন আলমঃ চাঁদপুর সদরের কৃষ্ণপুর জোহরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথি তছনছের ঘটনাটি চুরির ঘটনা বলে প্রচার করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। তার মতে, পুলিশ চুরির বিষয়টি তদন্ত করছেন এবং দ্রুতই চোর শনাক্ত হবে বলে সবাইকে আশস্ত করছেন।
১১ আগস্ট শুক্রবার বিষয়টি সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি অবগত করেন।
তিনি বলেন, রাতের কোন এক সময় বিদ্যালয়ের ২টি অফিস কক্ষের ৩টি স্টিলের আলমারি ভাঙ্গে চোর চক্র। এতে নগদ টাকা লুটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে চোরের দল। আর এই ঘটনা ঘটিয়েছে বুধবার রাতেই। যাই হউক আমি বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি অবগত করেছি। তবে ঠিক কত টাকা এবং কি কি কাগজপত্র তছনছ হয়েছে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
কৃষ্ণপুর জোহরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কো-অপ্ট সদস্য আবুল বাশার রনি বলেন, বিদ্যালয় পাহারা দেয়ার জন্য নৈশ প্রহরী মোঃ নানু মিয়া ছিলেন। তার ভাষ্য, ঐদিন রাত ১২টা পর্যন্ত পুরাতন ভবনের আশেপাশে তিনি পাহারারত ছিলেন। এরপর তিনি নতুন ভবনের দো’ তলায় গিয়ে কিছু সময় অবস্থান করে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় তিনি বিদ্যালয়ে এসে নাকি সহকারী শিক্ষকদের অফিস কক্ষ খুলে চোর ঢুকার বিষয়টি বুজতে পেরেছেন। এমনকি ওই চোর চক্র প্রধান শিক্ষকের কক্ষের জানালার একটি গ্রিল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেছে বলেও তিনি বলছেন, যা মাথায় কাজ করছে না।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির নৈশ প্রহরী মোঃ নানু মিয়া বলেন, আমি দেখে যা বুজছি সেটাই বলেছি। আমার দায়িত্বে কোন গাফিলতি নেই।
ঘটনা প্রসঙ্গে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই সঞ্জয় বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নৈশ প্রহরীকে জিঙ্গাসাবাদ শুরু করেছি এবং বাকিটা তদন্ত শেষে বলা যাবে।
এসময় কৃষ্ণপুর জোহরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির দাতা সদস্য শাহাজাহান হাওলাদার সাজু, সদস্য মানিক সরদার, কাউচার মিজি,হিরন হাওলাদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।