... বিস্তারিত
চাঁদপুরে বিয়ের কনেসহ ট্রলার ডুবি;নিখোঁজ-১
প্রান কৃৃৃষ্ণ দাস/সজল চন্দ্র দাসঃ চাঁদপুর সদরের শাহতলী এলাকার বিআরএস ব্রিকফিল্ড সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীতে বিয়ের কনেসহ ট্রলার ডুবে ১ শিশু নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যে যার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে গেছেন।
২১শে ফেব্রুয়ারী রবিবার রাত ৮ টার সময় এ ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি হিলশা নিউজ কে নিশ্চিত করেন লোকনাথ গীতা প্রচার সংঘ চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি রতন চন্দ্র দাস।
তিনি হিলশা নিউজ কে জানান, বিয়ের কনেসহ চরমেশা থেকে হাজীগঞ্জের পাইকদীর উদ্দেশ্যে ট্রলারটি রওনা হয়েছিলো। ট্রলারটি প্রায় ৪০ মিনিট চলার পর নদীর মাঝখানে বিপরীত দিক থেকে আসা চাঁদপুরগামী একটি বাল্কহেডের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে ট্রলারে থাকা কনেসহ প্রায় ৪০জন যাত্রী নদীতে ডুবে যায়। তবে নদীর স্রোত কম থাকায় সবাই সাঁতরিয়ে নদীর কিনারায় উঠতে সক্ষম হয়।
তিনি হিলশা নিউজ কে আরও জানান, গতকাল বিয়ের কনে সীমার গায়ে হলুদ হয়েছে। আজ বরের বাড়ীতে সীমার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। সেজন্যই সীমাসহ তার আত্মীয়-স্বজন বর পক্ষের বাড়ীতে বিয়ের কাজ সম্পন্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আর যাত্রা পথেই মাঝ নদীতে এই ট্রলার দূর্ঘটনা ঘটলো।
খোঁঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, ট্রলারে থাকা ওই বিবাহের কনের নাম নিপা দাস। তিনি চাঁদপুর সদরের বাগাদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পরেশ দাস ও সবীতা দাসে মেয়ে। নিপা তার পরিবারে ১ ভাই ১ বোনের মধ্যে বড়।
খোঁজ-খবর নিয়ে আরও জানা যায়, নিপা দাসের বিবাহ ঠিক হয়েছিলো খোকন চন্দ্র দাস ও সীতা রানী দাসের ছেলে নিবাস দাসের সাথে। নিবাস তাদের ৩ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট।
এদিকে এ দূর্ঘটনায় ট্রলারে থাকা দুুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। যাদেরকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে আহত চিকিৎসাধীন দুজনের নাম জানা যায়। তারা হলেন, যুুগেস চন্দ্র দাসের ছেলে সুকুমার দাস (৪৫) এবং মেহের আলীর ছেলে সুহরাব খান(২৫)।
এ ব্যপারে হাসপাতালে ভর্তি আহত সুকুমার দাস হিলশা নিউজ কে জানান, ৪০ জনের মতো যাত্রী আহত হয়েছে এবং এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ কন্যা শিশুর নাম প্রিয়ান্তি(৫)। সে সঞ্জিব ও সীমা রানীর কন্যা সন্তান। তবে বিয়ের কনেসহ বাকী আহতরা নিরাপদ আশ্রয়স্থলে রয়েছেন।