স্টাফ রিপোর্টারঃ বিয়ে বাড়ীতে টেবিল বসিয়ে কৌশলে টাকা আদায়ের মানসিকতা বর্জনের দাবীতে চাঁদপুরে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।কেননা ৫০০ টাকার খাবার খাইয়ে ২০০০ টাকা আদায়ের অভিনব এই কৌশল একটি নীরব চাঁদাবাজি ও জঘন্য হোটেল ব্যবসার সামিল।
শনিবার দুপুরে শহরের বাবুরহাটে চির সবুজ সোসাইটি অব বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের ব্যাণারে সিএস কমপ্লেক্সের সামনে থেকে র্যালি ও সভা করা হয়।
র্যালি শেষে সংগঠনের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দিকী মুকুল বলেন, সমাজে এখন বিয়ে মানে বাণিজ্যকেন্দ্র। কেননা এখন প্রায় প্রতিটি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার গ্রহণের জন্য আগে থেকেই অনুষ্ঠানস্থলের গেইটের পাশে টেবিলসহ একজন লোক কাগজ কলম নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। যাতে করে অতিমাত্রায় এবং উচ্চ হারে নগদ টাকা কিংবা উপহার পাওয়া যায় এবং কে কি দিলো তা লিখে রাখা যায়। আর এজন্য আগে থেকেই নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে দাওয়াত কার্ড দেওয়া হলেও কাছের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়া ব্যক্তিবর্গকে দাওয়াত কার্গ দেওয়া হয়না। আমরা এই সামাজিক বৈষম্যের অবসান চাই।
চির সবুজ সোসাইটি অব বাংলাদেশ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান বলেন, বিয়েতে কেউ যদি সহযোগিতা করতে চান সেটা খাতায় লিখে সবাইকে দেখিয়ে দিতে হবে কেন? এতে উপহারদাতা বিব্রত হয় সেটা বুজা প্রয়োজন রয়েছে। উপহার দিতে হবে গোপনে। সামর্থ্য অনুযায়ী আয়োজক পক্ষের আয়োজন করা উচিৎ। সামর্থ্য না থাকলে বেশি মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার দরকার নেই। আমরা দাবী আদায়ে সামনে আরো বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এসময় সমাবেশে চির সবুজ সোসাইটি অব বাংলাদেশ সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. বশির পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মমিন খান, যুগ্ন সম্পাদক মো. ওমর, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহআলম প্রধানীয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।