নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চাঁদপুর শরিয়তপুর ফেরীরুটে গাড়ী ও যাত্রীচাপ নেই এবং কোন প্রকারের অতিরিক্ত অর্থ ছাড়াই হচ্ছে মেঘনা নদীর এই ফেরী পারাপার।
৩০ মার্চ রোববার দিনব্যাপী চাঁদপুর সদরের হরিণা ফেরীঘাটে থেকে এ রুটে পারাপারকারী যাত্রীদের থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুরের হরিণা ফেরীঘাট কার্যালয় হতে জানা যায়, গেলো ২৯ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা হতে ৩০ মার্চ বিকাল ৫টা পর্যন্ত চাঁদপুর শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিসে যানবাহন পারাপার হয়েছে মোট ২৫০টি। এরমধ্যে চাঁদপুর প্রান্ত হতে বাস ৪টি,ট্রাক ৬৪ টি, ছোট ট্রাক ৩৮ টি এবং হোন্ডা ১৪৪ টি। এর বিপরীতে ওজন অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
মোটরসাইকেল চালক মকবুল বলেন, আমি যাবো শরিয়তপুর। আমার থেকে ১২০ টাকা রাখা হয়েছে।অনেক সময় অতিরিক্ত অর্থ দেয়া লাগলেও এখন অতিরিক্ত না লাগায় মনটাতে ভালো লাগলো।
ট্রাক চালক মনির বলেন,এখন আর ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়না। গাড়ী লোড হওয়া মাত্রই ফেরী ছেড়ে দিচ্ছে। একটা সুশৃঙ্খল যাত্রা যে ফেরী যাত্রা তা উপভোগ করছি। কোন প্রকারের অতিরিক্ত অর্থও লাগছে না। ব্যপার টা বেশ ভালো লাগার বিষয়।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের এজিএম (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের বর্তমানে ইমপ্রোভ কে টাইপ ফেরী মহানন্দা ১২/১৪টি ট্রাক এবং বাকি কে-টাইপ ফেরী কল্মি লতা, ফেরী কেতোকি,ফেরী কাকলী এবং ফেরী কস্তুরিতে ৭টি ট্রাক হলেই ২৪ ঘন্টা পারাপার করা হচ্ছে। এখন নিরাপদ যাত্রার জন্য ফেরী গাড়ীর জন্য ঘাটে অপেক্ষমান রাখা হয়। স্কেলের ওজন এবং নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ীই টাকা নেয়া হয় এবং কোনরূপ অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার সুযোগ নেই। সবার ঈদযাত্রা নিরাপদ হউক এই প্রত্যাশায় আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এসময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নজরুল ইসলাম,বিআইডব্লিউটিসি ঢাকার এজিএম প্রশাসন মইনুল ইসলাম, ম্যানেজার প্রশাসন মোঃ ইছা খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।