কৃষ্ণা নন্দীঃ চারদিকে আলোকস্বজ্জা ও ধর্মীয় উৎসবের আমেজে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবীর নিরবিচ্ছিন্ন নজরদারিতে চাঁদপুরে রামকাননের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ৫ হাজার লোককে খাওয়ানোর জন্য ১৪ জন পাকশী রান্নার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
৩ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সময়ে শহরের কালীবাড়ি মন্দিরে চলবে উৎসব ও খাওয়া দাওয়া।
সরজমিনে দেখা যায়, নানা প্রকারের শাকসবজি, ডাল, তেল স্তূপে স্তূপে সাজানো রয়েছে মন্দিরে। যখন যেটা প্রয়োজন সেটা নিয়েই চলছে কাটাকাটিসহ রান্নার কাজ। পুরোদমের এই কাজ রামকাননের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সফল করার জন্য।
রামকাননের সদস্য সচিব সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘সদ্ গুরু’র নামে অবিচল’ স্লোগানে রামকাননের পথচলা শুরু হয় ২০২০ সালে। তখন মাত্র ১২ সদস্য নিয়ে এই কমিটি কাজ শুরু করে। বর্তমানে ৪শ’ এর অধিক সদস্য রয়েছে। যারা দিনে ১ টাকা হারে মাসে ৩০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি আরও বলেন, এই আয়োজনটি গত ২৯ নভেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩৫ দিন পর আমরা করতে যাচ্ছি। সকাল ৯টায় ফল ভোগ, সাড়ে ১১টায় অন্ন ভোগ, পৌনে ১ টায় খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়াও সন্ধ্যা ৬ টায় সত্য নারায়ণের সেবা ও রাত ১০টায় সত্য নারায়ণের পানীয় খাবার বিতরণ করা হবে। দিনব্যাপী পালাক্রমে চাঁদপুরের লোকনাথ সংঘ এবং কুমিল্লার রাসস্থলি সম্প্রদায় পর্যায়ক্রমে হরিণাম সংকীর্তন করবে।
চাঁদপুর রামকাননের আহ্বায়ক গৌতম দত্ত বাপ্পী বলেন, আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে ভক্তের গৃহে গৃহে গিয়ে রাম ঠাকুরের আদর্শ প্রচার করা। তবে আমাদের রামকাননের নিজস্ব কোন ভূমি বা মন্দির নাই। ভক্তের গৃহাস্থলিই রাম কাননের মন্দির। এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫১ জনের গৃহে গিয়ে প্রতিমাসে ১টি করে সত্য নারায়ণ নাম ও সেবা উৎসব পালন করেছে। এছাড়াও সংগঠনের অনুদানের টাকায় মহাশ্মশানে শবদেহ বহনকরার গাড়ী প্রদান করা হয়েছে। তবে আমরা অসহায়দের বিবাহ এবং সংগঠনের কোন সদস্য বা সদস্যার নিকট আত্মীয়ের মৃত্যু ঘটলে তার সৎকার কাজেও সহযোগিতা করে থাকি।