স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর চট্টগ্রাম রেলরুটে একমাত্র এক্সপ্রেস ট্রেন সাগরিকা এক্সপ্রেস রেলধর্মঘটে বিলম্বে ছাড়ায় যাত্রীরা দূর্ভোগে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও সে ট্রেন ছেড়েছে বিকাল সাড়ে ৪ টায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইনচার্জ জুবায়ের বলেন, ট্রেনের এলএম এবং এএলএমদের অফিসিয়াল অর্ডার দেয়া হয় বাইরোস্টার ১ মাস আখাড়রা গিয়ে ডিউটি করতে হবে। আর সেজন্যই এমন অর্ডারের প্রতিবাদে সাগরিকা ট্রেনটি দুপুর আড়াইটায় ছাড়ার কথা থাকলেও তা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে উর্দ্ধতনের সাথে আলাপ শেষে বিকাল সাড়ে ৪ টায় ট্রেনটি লাকসামের উদ্দ্যেশ্যে ছাড়া হয়।
এদিকে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন বন্ধ থাকায় রোজার আগে প্রায় ৪/৫ হাজার যাত্রী চরম দূর্ভোগে পড়ে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাগরিকা টিকেট কাউন্টারে অতিরিক্ত দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রামগামী যাত্রী সাহেদ বলেন,নির্দিষ্ট সময়ের আগে এসেও টিকিট পাইনি। পরে চাঁদপুর চট্টগ্রাম এর ৮৫ টাকার টিকিট ৩০০ টাকা দিয়ে নিতে হয়েছে। এই কালোবাজারি বন্ধের দাবী জানাচ্ছি। যদিও সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে টিকেট কাউন্টারের লোক সটকে পড়েন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মুরাদ উল্লাহ্ বাহার বলেন, প্রায় ২ ঘন্টা ট্রেন বন্ধ রাখার স্টেশনে সাধারণ যাত্রীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। পরে আমরা ফোর্সসহ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এসময় চড়া দামে কেউ কেউ টিকিট কেনার বিষয়টি নজরে এসেছে। বিষয়টি আমরা সংশ্লিস্টদের অবগত করেছি।