মোঃ হোসেন গাজীঃ চাঁদপুরে শীতকালীন সবজির চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আগাম সবজি বাজারে তুললে মুনাফা ভালো হয় বলেই এই ব্যস্ততা বলে জানিয়েছে কৃষকগণ।
১৪ই নভেম্বর রোববার সরজমিনে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, লাল শাক, মূলা শাক, পালং শাক, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলাসহ বিভিন্ন রকমের শাকসবজি চাষে দিনভর মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন কৃষকগণ। তবে কেউ কেউ আগাম সবজি চাষ করে তা আশ-পাশের বাজারেও বিক্রি করছেন।
হাইমচরের উত্তর আলগী গ্রামের কৃষক ফজল আহমেদ ও মুনসুর গাজী জানান, প্রতিদিন তিনি তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সারাদিন মাঠে কাজ করেন। শীত এলেই তারা দু’জনে মিলে এভাবে চাষাবাদ করেন। ফলন ভালো হলে তা বিক্রি করে যা টাকা উপার্জিত হয় তা দিয়ে ভালোভাবে তাদের সংসার চলে।
কচুয়ার কৃষক আবুল বাশার জানান, সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলক মূলধন ও পরিশ্রম কম লাগে। তবে রোগবালাই দমনে সবজি ক্ষেতে কীটনাশক বেশি প্রয়োগ করতে হয়। স্বল্প সময়েই সবজি বিক্রি উপযোগী হয়ে ওঠে। প্রায় দিনই বাজারে সবজি বিক্রি করা যায়। তাই আমি শীতকালীন সবজি চাষে বেশি আগ্রহী।
হাজীগঞ্জের শাহআলম নামের এক কৃষক বলেন, আমি শীতকালীন শসা, টমেটোসহ অন্যান্য সবজি চাষ করি এবং বাজারে তা ভালো দামে বিক্রি করি। এই বছর ৩ একর জমিতে শসা ও টমেটোর ক্ষেত করেছি। যদি ফলন ভালো হয় তাহলে আশা করি গত বছরের তুলনায় এই বছর বেশি লাভবান হবো।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ মৌসুমে জেলায় শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ ছিলো ৫ হাজার হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১২ হাজার ৫’শ মে.টন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দীন বলেন, আবহাওয়া ভালো এবং বৃষ্টিপাত ভালো হওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রান্তিক চাষিদের মাঝে শীতের শাকসবজির বীজ এবং সার দিয়ে দিয়েছি। তাছাড়াও মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি নানাভাবে তথ্য সহযোগিতা করছেন। আশা করি এবার গতবছরের চেয়ে শীতকালীন সবজির বেশি আবাদ এবং উৎপাদন হবে।