অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের স্বর্ণখোলায় অবস্থিত অবহেলিত হরিজনদের ৭৮টি পরিবার থাকার জন্য পাবে ৩টি চার তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন। তাদের জীবনমান উন্নয়নে পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই অনুমোদন হয়েছে।
১৭ নভেম্বর বুধবার ‘হিলশা নিউজ‘-কে এক সাক্ষাৎকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর পৌরসভার এলআই ইউপিসি প্রজেক্টের ইন্ফ্রাষ্ট্রাকচার এন্ড হাউজিং এক্সপার্ট কায়সার আহমেদ।
তিনি বলেন, পূর্বের অবকাঠামো ভেঙ্গে অবহেলিত হরিজন সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নের প্রচেষ্টায় স্বর্ণখোলায় পৌরসভার ১.১৯ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (এলআইইউপিসি) এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ওই স্থানটি আবাসন প্রকল্পের জন্য চলতি মাসেই ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে এর সাইড সিলেলশনে কনসাল্টেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। অচিরেই ঐখানে ৩টি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। তা শেষ হলে সেখানে ৭৮টি হরিজন পরিবার সুন্দরভাবে থাকতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ভবন নির্মাণ শেষ হলে সেখানে গাইড ওয়াল নির্মাণ, ট্রি প্লান্টেশন, ওপেন স্টেজসহ পুকুরের সুন্দর্য বর্ধণের কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে করে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দীর্ঘদিনের আবাসন সমস্যা সমাধান হবে বলে আমি মনে করছি।
এমন খবর হরিজনদের জানানো হলে তাদের মাঝে বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস দেখা যায়। এক প্রতিক্রীয়ায় চাঁদপুর হরিজন সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আকাশ দাস ‘হিলশা নিউজ‘-কে বলেন, আমাদের স্বর্ণখোলায় থাকার সমস্যা, পানির সমস্যা, টয়লেটের সমস্যাসহ যাবতীয় সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ রয়েছে। আশা করছি এই ভবন ৩টি নির্মিত হলে আমাদের হরিজনদের দীর্ঘদিনের এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না। আমাদের জীবনমান উন্নয়নে এমন উদ্যোগ নেয়ায় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।