সাগর আচার্য্যঃ চাঁদপুর জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ। প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা হচ্ছেন প্রতিদিন। চিকিৎসকদের মতে গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হলেও সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার কয়েকটি ঔষধের ফার্মেসিতে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে চোখের ড্রপের চাহিদা বেড়েছে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই চোখের ড্রপ ও অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ সেবন করছেন। এসব ওষুধ সেবন করে অনেকেই দুই তিন দিনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আবার কেউ ৫-৭ দিন। তবে চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা রোগটি ছোঁয়াচে জেনেও তারা তাদের প্রাত্যহিক কাজ করে যাচ্ছেন।মেলামেশা করছেন সবার সঙ্গেই।
প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত সাইফ হোসেন জানান, চোখ ওঠা সমস্যা নিয়ে গত ৩দিন অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় বিশ্রামে ছিলাম। আজ সুস্থ হয়ে অফিস যাচ্ছি।
ট্রীটমেন্টের কথা জিজ্ঞাসা করাতে তিনি জানান, ফার্মেসি থেকে একটা চোখের ড্রপ নিয়েছিলাম। পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা চিন্তা করে বাসায় কালো চশমা ব্যবহার করেছি। এর আগে পরিবারের কয়েক জনের এ সমস্যা হয়েছে। ৪/৫ দিনের মধ্যে সেড়েও উঠেছেন তারা।
রিক্সা চালক আনোয়ার হোসেন জানান, আমার চোখ ওঠেছে গত ২দিন৷ এখন চোখের যন্ত্রণার চেয়ে পেটের যন্ত্রণাই বেশি তাই চোখ ওঠা নিয়েও চালাতে হচ্ছে রিক্সা। পরিবারে থাকা আরো ৩জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছে।
চাঁদপুর শহরের ফার্মেসী ব্যবসায়ী সোহান তালুকদার জানান, গত ৮-১০ দিনে চোখের ড্রপ ও অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট কিনতে আসা রোগির সংখ্যা অনেক বেশি। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া চোখের ড্রপ ব্যবহার করা অনুচিত হলেও তা মানছেন না কেউ৷ আমরাও প্রেসক্রিপশন ছাড়া যাকে তাকে মুখস্থ ঔষধ দিচ্ছিনা।
চাঁদপুর স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, চোখ ওঠা খুবই ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের থেকে অন্যজনের হতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সবাই কাপড়, তোয়ালে ও অন্যান্য জিনিস আলাদা ব্যবহার করতে হবে।আক্রান্তরা উদ্বিগ্ন না হয়ে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে পাশাপাশি বাসায় আইসোলেশনে থাকতে হবে।