স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুরে হত্যার প্ররোচনা ও সহায়তার অপরাধে ৮জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দায়ের করেছে। পরে সদর মডেল থানার এসআই শাহাজান মামলার এজহারভুক্ত রাব্বানী ও সজিবকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
২৪ আগস্ট বুধবার দুপুরে নিহত হাসান ছৈয়ালের পিতা শরীফ ছৈয়াল ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৬০।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, নিহত হাসান ছৈয়াল রাজমিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
মঙ্গলবার (২৩ আগষ্ট) ভোরে আসামীরা নিহত হাসানের বাসার সামনে এসে জানায়, হাসান ভোরে পাশের ভাড়াটিয়া স্বপনের ঘরে প্রবেশ করে মোবাইল সেট চুরি করেছে।
এসময় হাসান তার নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিল। পরে আসামীরা ঘুমন্ত হাসানকে ঘর থেকে টেনে হেচড়ে বের করে এবং মোবাইল সেট চুরি করেছে বলে অপমান করে।
পরে উল্লেখিত ও অজ্ঞাত আসামীরা হাসানকে মারধর করে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। হাসান চুরি করে নাই বলে তাদেরকে কাকুতি মিনতি করে জানালেও, পুনরায় তাকে মারধর করে এবং তার রশির বাঁধন খুলে ঘরের মধ্যে রেখে বাহিরে দরজা আটকে দেয়। পরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ সইতে না পেরে হাসান ছৈয়াল সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ শাহজাহান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত হাসানের পিতা শরীফ ছৈয়াল জানান, আমার ছেলে চুরি না করা সত্ত্বেও তারা আমার ছেলেকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপদস্ত করেছে। আমি একমাত্র ছেলে হত্যার বিচার চাই।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।