অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর জেলার সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জের ৮টি চরের প্রায় ৭শ’ একর জমি এবার অনাবাদী থাকার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কৃষকরা দাবি করছেন, যথা সময়ে পানি নিষ্কাশিত না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সরজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চাঁদপুরের ঘাসিপুরচর, চর-মটকিরচর, বাঁশতলীরচর, সেকদীর চর, কেরোয়ারচর, ধানুয়ারচর ও নানুপুর পাম্প হাউজের সামনের উত্তরের চরের বিশাল এলাকায় এক হাঁটু পরিমাণ পানি আবার কোথাও তার উপরে পানি জমে আছে।
চর-মটকির চরের কৃষক বিল্লাল মিজি, কামরুল হাসান, আল আমিন খান, ঘাসিপুরচরের মকবুল হোসনসহ একাধিক কৃষক ক্ষুদ্ধ হয়ে জানান, আমাদের এলাকার প্রায় চার’শ একর জমি এখনো ৩/৪ ফুট পানির নিচে রয়েছে। এদিকে সময়ও পেরিয়ে যাচ্ছে। কিভাবে কি করবো বুজতে পারছি না।
বাগাদী ইউপির স্থানীয় মেম্বার ইউসুফ শেখ জানান, আমাদের অঞ্চলের কৃষকরা ধানের বীজতলা করে এখন বিপদে রয়েছে। অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে ধানের চারা রোপণের সঠিক সময়। অথচ এখন পৌষ মাস চললেও চারা রোপণের কোন কাজই করা হয়নি। তাই চলতি সময়ে যদি এসব ধানের চারা রোপণের ব্যবস্থা না করা হয়। তাই এতে জমি অনাবাদী থাকার আশঙ্কা থাকায় কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে কালু, মতিনসহ বেশ ক’জন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, বাঘড়া বাজারে বালুু ও সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের নৌযান চলাচল ও পরিবহন ব্যবসার সুবিধার জন্য তাদের সাথে স্থানীয় পাউবোতে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকতে পারে। যে কারণে তারা ভেতরের পানি নিষ্কাশনে কোন রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।
এদিকে চাঁদপুর সদরের বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল পাউবোর কতিপয় কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার জন্যে এসব এলাকায় কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে ক্ষোভ ও অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, অবিলম্বে পানি নিষ্কাশনে উদ্যোগের দাবী জানাচ্ছি।
কৃষকদের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে পাউবো চাঁদপুরের চর বাগাদী পাম্প হাউজে কর্মরত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বদরউদ্দিন মোল্লা এ প্রতিবেদককে বলেন, এই সেচ প্রকল্পটির সব জায়গার পানির লেভেল এক রকম নয়। উল্লেখিত জমিগুলি সর্বনিম্ব নিচু এলাকায়। যে কারণে এখানে পানি একটু বেশি থাকে। তবে ওয়াটার বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ীই এখানে পানির লেভেল রয়েছে। তারপরও কৃষকদের সুবিধার জন্য আমরা দ্রুতই আরো পানি নিষ্কাশন করার উদ্যোগ নেবো।