স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী সাগরিকা এক্সপ্রেসট্রেনে টিকেটের দাম নির্ধারিত মুল্যের চাইতে বেশি ফলে কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বেশিদিয়েই কিনতে হচ্ছে চাঁদপুর- চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-চাঁদপুরে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের টিকেট বিক্রেতার অজুহাত দিচ্ছে, স্বল্পসংখ্যক টিকেট দিচ্ছে তাদের বরাদ্দে।
এমতাবস্থায় একটি টিকেট ও একটি সিটের জন্য প্রতি টিকিট প্রতি তারা ১০থেকে ১৫ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে, টিকেট বিক্রেতা বলছে টিকেট নেই, আবার যে যাত্রী টাকা বেশ দিচ্ছে তাকে বসার টিকেট দেওয়া হচ্ছে, টাকা বেশি না দিলে সিট দেওয়া হচ্ছে না, দেওয়া হচ্ছে স্টেন্ডিং ( দারানো) টিকেট অন্যথায় দেওয়া হচ্ছে নাঙ্গল কোটের বা লাকসামের বা ফেনীর টিকেট।
এ ব্যাপারে মোস্তফা নামের একজন যাত্রী গণমাধ্যম কে অভিযোগ করে বলেন, আমি চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য কালিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনে সকাল থেকে এসে অপেক্ষা করছি, এরপর দেখি যাত্রীদের লম্বা লাইন, এরপর সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট বিক্রেতা আসলে আমি একটি টিকেট কিনতে গেলে বিক্রেতা বলে টিকেট শেষ হয়েগেছে, আমাকে জানানো হলো স্টেন্ডিং টিকেট দেওয়া যাবে আমি বললাম ভাই আমি একটু অসুস্থ আমাকে একটা টিকেট ম্যানেজ করে দেন, তার পর বিক্রেতা বলে ১০০ টাকা দেন,বাধ্য হয়ে ১ শ টাকাদিয়েই টিকেট নিলাম,এরপর আর একজন যাত্রী নেছার আহমেদ অভিযোগ করে বললেন আমার কাছথেকেও ১০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।
কেন বেশি দিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তার জানান, একপ্রকার বাধ্য হয়েই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে টিকেট।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাঁদপুর কোট স্টেশন রেলওয়ে স্টেশনের সাগরিকা এক্সপ্রেস টিকিট বিক্রেতা আলা আমিন বলেন, আমরা চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট বিক্রি করছি আমাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ১শ’ টি টিকেট তাই যাত্রী অপেক্ষায় টিকেটের এর সংখ্যা অতি নগণ্য, যাত্রী বেশি হওয়ায় অতি দ্রুত টিকিট শেষ হয়ে যায় টিকেটের দাম বেশি নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি অস্বীকার করে বলেন আমরা কোন টিকেটের দাম বেশি নিচ্ছি না।
এ ব্যাপারে সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ম্যানেজার মোঃ রুমি বলেন, ট্রেনের টিকেটের দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। কোন সাংবাদিক বা অন্য কেউ ভিডিও রেকর্ডিং করে আমাকে দেখালে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।