স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি হওয়া সত্ত্বেও চাঁদপুরে জনপ্রতিনিধি সংকটে রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। তবে দলটির তৃণমূল কর্মীদের দাবী, যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও আওয়ামীলীগের এক চেটিয়া নিয়ন্ত্রণে কোনঠাসা জাতীয় পার্টি।
তবে এবার প্রেক্ষাপট বদলে দিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে চাঁদপুর জেলা পরিষদের সদস্য পদে সদর ও পৌর এলাকায় আলোচনায় রয়েছেন দেশের প্রধান বিরোধী দলীয় জাতীয় পার্টির চাঁদপুরের নেতা মোঃ ফেরদৌস খান। তাকে চাঁদপুর সদর ও পৌরসভা এলাকার জনগণ জেলা পরিষদের সদস্য করতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, মোঃ ফেরদৌস খান চাঁদপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের নাজিরপাড়ার বাসিন্দা। যার পিতা হচ্ছেন মৃত আবদুল মন্নান খান এবং মাতা হচ্ছেন ছালেহা বেগম। ১৯৮২ সালে ২৭ জানুয়ারি তাঁর জন্ম হয়। বর্তমানে তিনি বিবাহিত এবং ৩ কন্যা সন্তানের জনক। যিনি ১৯৯৭ সালে জেলা জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন ছাত্র সমাজে যোগদান করার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। আর নিজের মেধা ও বিচক্ষণতায় যোগ্য নেতৃত্বের প্রমাণ রেখে ১৯৯৮ সালে জাতীয় ছাত্র সমাজ চাঁদপুর শহর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জেলা ছাত্র সমাজের সদস্য পদের দায়িত্ব অর্জন করেন। এরপর ২০০৪ সালে জাতীয় ছাত্র সমাজের চাঁদপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব এবং ২০০৬ সালে সন্মেলনে ভোটাভোটিতে নিরুঙ্কুস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আরও জানা যায়, সাবেক এই ছাত্রনেতা মোঃ ফেরদৌস খান ছাত্রনেতাতেই থেমে যাননি। দীর্ঘদিন দল রাষ্ট্রক্ষমতায় না থাকলেও দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে চলেছেন। আর তাই দলীয় মূল্যায়ন হিসেবে ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে জাতীয় যুব সংহতি চাঁদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক, ২০১২ সালে জাতীয় পার্টি চাঁদপুর শহর শাখর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, ২০১৩ সালে জেলা জাতীয় পার্টির যুব বিষয়ক সম্পাদক, ২০২২ সালে জাতীয় পার্টির চাঁদপুর শহর শাখার সদস্য সচিব এবং জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়ে সমাজ সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ সদস্য পদে প্রার্থীতা প্রসঙ্গে জনবান্ধব এই নেতা মোঃ ফেরদৌস খান বলেন, বর্তমানে দেশে ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত নেই। আওয়ামীলীগের লোকজন মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। সব জায়গায় এক নায়কতন্ত্র সৃষ্টি করায় জনরোশানলে রয়েছে দলটি। তবুও গণতন্ত্র চর্চায় জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের সেবায় জেলা পরিষদের নির্বাচনে আমি অংশ গ্রহণ করতে চাচ্ছি।
মোঃ ফেরদৌস খান আরও বলেন, ভোটাররা যদি আশস্ত করে তা হলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য আমি চাঁদপুর সদরের ১৪টি ইউনিয়নের সম্মানীত চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং চাঁদপুর পৌরসভার সম্মানীত মেয়র ও কাউন্সিলরদের সমর্থন এবং সর্বপরী আমার দল জাতীয় পার্টি ও সর্বস্তরের মানুষের দোয়া ও সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।