অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর পৌরবাসীর ভাগ্য বদলে বিশাল ১টি প্রজেক্ট হাতে পাওয়ার সম্ভাবনাময় বড় সুখবরের আভাস দিয়েছেন মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল। যা বাস্তবায়ন হওয়ার পথে রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
২২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার পৌর ৩নং ওয়ার্ডের পুরানবাজার দাসপাড়ায় শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গোপাল জিউর মন্দিরের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সুখবর দেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জয় লাভের পর পৌর মেয়রের চেয়ারে আমাকে নানা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে বসতে হয়েছে। যা অনেকটা পরিশোধ করতে পারায় ১টি বড় প্রজেক্ট হাতে পেতে যাচ্ছি। তা বাস্তবায়ন হলে পৌরবাসীর কর্মসংস্থানসহ অর্থনৈতিকভাবে পৌরসভা লাভবান হবে।এতে করে অলিগলির রাস্তাঘাট, ড্রেন, লাইটিংসহ নানা উন্নয়ন করা খুব সহজ হবে।
মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল আরও বলেন, দাসপাড়ার কয়েক’শ সনাতনী পরিবারের জন্য এই শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গোপাল জিউর মন্দিরটি সংস্কার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমিও এই মন্দিরটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে পৌরসভার পক্ষ থেকে সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকবো। আমি ধর্মের চোখে নয় মানুষ হিসেবে সবাইকে দেখতেই অভ্যস্থ। তাই আমার কাছে সবাই সমান, সব সময় যেকোন প্রয়োজনে আপনাদের জন্য পৌরসভার দরজা খোলা থাকবে।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গোপাল জিউর মন্দিরের অবকাঠামো উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা কৃষ্ণ লীলা দাসী।
শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গোপাল জিউর মন্দিরের ১৮তম বাৎসরিক উৎসব পরিচালক ও নবনির্মিত সংস্কারকৃত মন্দিরটির উদ্যোক্তা স্বপন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে এবং শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গোপাল জিউর মন্দিরের সদস্য পলাশ দাস রামের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিনয় ভূষণ মজুমদার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক রনজিত সাহা মুন্না, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক লিটন সাহা, সীতাকুন্ডের শঙ্কর মঠ ও মিশনের শ্রী সন্তুসানন্দ ব্রহ্মচারী, চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রী সুরেশ মজুমদার ব্রহ্মচারী, রামকৃষ্ণ আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রী স্থিরত্মানন্দ ব্রহ্মচারী, ওয়ান মিনিটের সত্ত্বাধিকারী সম্পদ সাহা, শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গোপাল জিউর মন্দিরের সদস্য বিশ্বনাথ দাস, সুবাস দাস, দিবাস দাস, প্রশান্ত সরকার, আশিষ মজুমদারসহ অন্যান্যরা।
এদিনে মন্দিরে ৩২ প্রহরব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন ও রাধাকৃষ্ণের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন ও মহোৎসবেরও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ সময় দাসপাড়ার কয়েক’শ সনাতনী ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।