সাগর আচার্য্যঃ চাঁদপুর সদর উপজেলায় পৌরসভার আয়োজনে শারদীয় দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় চাঁদপুর পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে পৌর মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল সভাপতিত্বে শারদীয় দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দুর্গা পূজার প্রস্তুতি সভায় পৌর মেয়র বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ধর্মীয় বড় উৎসব গুলোকে টার্গেট করে। তাই এই সাম্প্রদায়িকতা রুখে দিতে সবাইকে শারদীয় দূর্গোৎসবে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। শারদীয় দূর্গোৎসবে পৌরসভার পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমরা কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করা হবে। অর্থাৎ আমরা সকলে সবসময় একত্রে থাকবো। সকল অপশক্তি রোধ করতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নামাজের সময় যেন মণ্ডপের সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখা হয়। এ দেশের উৎসবগুলো আমাদের সকলের। আমরা সকল নিয়ম কানুন মেনে ধর্মীয় উৎসব পালন করবো। গতবছর যে বিশৃঙ্খলার ঘটনাটি ঘটেছে সেই ঘটনায় মণ্ডপের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই সেই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাই সিসি ক্যামেরা পূজা মণ্ডপগুলোতে স্থাপন করা জরুরি। উৎসব উৎসবের জায়গায় থাকবে। আমরা উৎসবের জায়গায় থেকে উৎসব পালন করবো। শারদীয় দূর্গোৎসব সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে পালন করা হবে। পুরান বাজার ও ডগ লাইন হরিজন পল্লীর মন্দিরে চাঁদপুর পৌরসভা থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে দেয়া হবে। চাঁদপুর শহরে পৌরসভার পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে উন্নতমানের প্রায় ৩’শ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। আমরা পূজা চলাকালে শহরে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি স্কাউট সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছি।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, মহালয়ার দিন ভোরে পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার শান্তি কামনা করছি। চাঁদপুর জেলায় এ বছর ২১৯ টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে। চাঁদপুর পৌর এলাকায় ৩১ টি পূজা হচ্ছে। বেড়ছে ২ টি পূজামণ্ডপ পৌরসভা থেকে পূজা চলাকালে মণ্ডপগুলো ক্লিনার দিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে। পৌর পরিষদ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করবে। বিসর্জনের জন্য ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে একটি মঞ্চ তৈরি করা হবে যাতে সকল উর্ধতন কর্মকর্তার উপস্থিত থাকতে পারে। পৌরসভা থেকে বিসর্জনের স্থানে বালু ফালানোর মাধ্যমে কিছুটা উঁচু করে গড়ে তুলা হবে ডাকাতিয়া নদীর পাড়। পুরান বাজার হাসপাতাল ঘাট দিয়ে পুরান বাজারের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। নতুন বাজার এলাকার প্রতিমা চৌধুরী ঘাট এলাকা দিয়ে বিসর্জন দেয়া হয়। এখানের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আনসার, পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশ টহল সদস্যদের যুক্ত করা হবে।
প্রস্তুতি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারন সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী, প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, সদর উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুশীল সাহা, সাধারন সম্পাদক লক্ষ্মন চন্দ্র সূত্রধর, রামকৃষ্ণ আশ্রমের স্বামী সুবলানন্দ মহারাজ, রনজিত সাহা মুন্না, মাখন দাস, রিপন ভদ্র, বাপ্পি পাল, প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াসসহ বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের নেতৃবৃন্দ।