রিয়ন দেঃ চাঁদপুর প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে ভালো সেবা পাওয়ায় নানা বয়সের রোগীর চাপ বেড়েছে। এরমধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধীতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিই বেশি। ফিজিওথেরাপী, অকুপেশনাল থেরাপী, স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপী, কাউন্সিলিং, হেয়ারিং টেষ্ট ও সচেতনতামূলক পরামর্শ নিতে এসব রোগীরা ভীড় জমাচ্ছেন।
২৫ জুলাই সোমবার দুপুরে মহিলা, পুরুষ ও শিশু রোগীদের ভীড় দেখা যায়।
লিটন, এনাম ভূঁইয়া, হেলাল চৌধুরীসহ আরও রোগীরা বলেন, এখানে সার্ভিস ভালো পাওয়া যায়। তাছাড়া এখানে যারা সার্ভিস দেয় সবারই ফিজিওথেরাপি ও শ্রবণ এবং দৃষ্টি পরীক্ষার ওপর ডিগ্রী আছে। তার ওপর সকল সার্ভিস বিনামূল্যে পাওয়া যায় বলেই আমরা এখানে সেবা নিতে আসি।

জানা যায়, গেলো জুন মাসে সেবা নিতে ৫৬ জন রোগী নতুন করে রেজিষ্ট্রারভুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র জুন মাসেই নানান সেবা গ্রহণ করেছেন ১ হাজার ৫শ’ ১৭ জন। ২০১২ সালের ২৭ মে চাঁদপুরে তাদের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রেজিষ্ট্রারভুক্ত রোগী রয়েছেন ৫ হাজার ৫শ’ ৪৫ জন। আর মোট ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫শ’ ৮৫ জন সেবা গ্রহীতা এখান থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও ২০১৬ সাল থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল ক্যাম্পিং শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১শ’ ২৪টি ক্যাম্পিং করে নিবন্ধিত ৮ হাজার ৭শ’ ৭১ জন রোগীকে সেবা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ফিজিওথেরাপি কনসালটেন্ট মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের নিজস্ব ভবন না থাকায় ভাড়া বাড়ীতে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এতে প্রতিবছরই নতুন নতুন থেরাপীর যন্ত্রপাতি ও সহায়ক উপকরণ বরাদ্দ পাওয়ায় এগুলো রাখতে গিয়ে কক্ষ সংকটে কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও মানুষকে তার কাঙ্খিত সেবাটুকু দেওয়ার চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র নন্দী বলেন, আমরা শুধু রোগীদের সেবাই নয় বরং এরসাথে প্রতিবন্ধীদের ধরণ অনুযায়ী সহায়ক উপকরণও দিচ্ছি। এই কার্যালয়টি হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫শ’ ৪৮টি হুইল চেয়ার, ৩১টি ট্রাই সাইকেল, ৯৯টি হেয়ারিং এইড, ৩০টি ওয়াকার, ৩৯টি স্মার্ট সাদাছড়ি, ৮৫টি এনালগ সাদাছড়ি, ৭টি কর্ণার চেয়ার, ৬টি স্ট্যান্ডিং ফ্রাম, ৫টি টয়লেট চেয়ার, ৭ জোড়া অক্সিলারি ক্রাচ ও ৭টি এলবো ক্রাচসহ আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। আমাদের সীমিত জনবল যা রয়েছে তা দিয়েই আমরা সেবা অব্যাহত রেখেছি।