অমরেশ দত্ত জয়ঃ চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরিঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড চার্জ ও টার্মিনাল চার্জ থেকে মোঃ মোজাম্মেল গাজীর ইজারাটি দ্রুত বাতিল করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যানের দপ্তর বরাবর ডিও লেটার পাঠানো হয়েছে।
২’রা নভেম্বর মঙ্গলবার উপ-সচিব মোহাঃ আমিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রাপ্ত ডিও লেটার থেকে জানা যায়, হরিনাঘাটে মোঃ মোজাম্মেল গাজী বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি মাদক কারবারের সাথেও লিপ্ত রয়েছেন। তার নানাবিধ অত্যাচারে ফেরীঘাটে যাতায়াতকারী যানবাহনের চালক ও শ্রমিকরা অতিষ্ঠ এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। অতীতেও চাঁদাবাজির অভিযোগে মোঃ মোজাম্মেল গাজীর ফেরিঘাটের ইজারা বাতিল করা হয়েছিলো। তাই ডিও লেটারে বর্ণিত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মোঃ মোজাম্মেল গাজীর ইজারা বাতিল করে এটিকে বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করতে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যপারে হরিনাঘাটের ইজারাদার মোঃ মোজাম্মেল গাজীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন সুনামেরসহিত হরিণাঘাট ইজারা নিয়ে দায়িত্ব পালন করছি। বর্তমানে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হানারচর থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আপাকে ভুল বুজিয়ে এই ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। আমার বিষয়ে ডিও লেটারে উল্লেখিত তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট হওয়ায় আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপ-পরিচালক এ. কে. এম. কায়সারুল ইসলাম জানান, লোক মারফতে বিভিন্ন সূত্রে হরিণাঘাটের ইজারাটি মোঃ মোজাম্মেল গাজীকে বাদ দিয়ে এটি বিআইডব্লিউটিএ এর তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসার কথা শুনছি। কিন্তু অফিসিয়ালি মন্ত্রণালয় থেকে এখনো দাপ্তরিকভাবে কোন চিঠি বা নির্দেশনা আমরা পাইনি। যদি এ সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের চাঁদপুর কার্যালয়কে অবহিত করে তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।