... বিস্তারিত
চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাট ভাঙন রোধে কাজ হবে বর্ষার আগেই
১৯ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে চাঁদপুর ইব্রাহিমপুর এবং শরীয়তপুর নরসিংহপুর ফেরীঘাট এলাকার ইউটি চেয়ারম্যানদের নিয়ে ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে চড়ে ফেরিঘাটের দুই পাশের মেঘনার ভাঙ্গনস্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভেদেরগঞ্জ উপজেলার চরসেনসান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিতু মিয়া বেপারী এবং চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ কাসেম খান।
শরিয়তপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব জানান, আমাদের মাননীয় পানি সম্পদ মন্ত্রী মন্ত্রণালয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে শরিয়তপুর জেলা এবং ফেরীঘাট সংলগ্ন চাঁদপুর জেলার যে সমস্ত স্থানে নদী ভাঙন রয়েছে তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। এরপর এই তালিকা অনুযায়ী যেসকল স্থানে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সেখানকার কাজ শেষ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নদী ভাঙ্গনের কাজগুলো করতে সার্ভে করে ডিজাইন করতে বেশকিছু সময় লেগে যায়। তবে আমরা আশা করছি আগামী বর্ষার আগে, অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এর কাজ শুরু করতে পারব। এই কাজের ধরণ হবে জিও ব্যাগ এবং ইউটিউবেরর সমন্বয়ে। যাকে আমাদের ভাষায় বলা হয় ‘টেম্পোরারি প্রডাক্টিভ ওয়ার্ক’। যেহেতু চাঁদপুর কিংবা শরিয়তপুর নয়, ফেরীঘাটের এই এলাকাটি পুরো দেশের জন্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সেহেতু এটি নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। অচিরেই এখানে স্থায়ী ব্লক দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা একটি ডিভিডি তৈরী করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করব।
এদিকে শরিয়তপুর ফেরী ঘাটের পূর্বপাশে জেগে ওঠা একটি চরের জন্যে চাঁদপুরের ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের বিশাল একটি এলাকা ভাঙনের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। মেঘনার তীব্র স্রোত চরে বাঁধা খেয়ে ওই লাকার পাড়ে আঘাত করছে। যার ফলে সেখানকার বহু মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতোমধ্যেই বহু পরিবার ভিটেমাটি হারা হয়েছে। তাই অতিদ্রুত চরটি কাটার জন্যে উদ্যোগ নিতে মাননীয় মন্ত্রী, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী ও চাঁদপুর সদর ইউএনও’র কাছে দাবী জানিয়েছে ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী।