অমরেশ দত্ত জয়: চাঁদপুর শহরে যত্রতত্র নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠছে একের পর এক বহুতল ভবন। এতে করে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, তথ্য পেলেই নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।
২৬ জানুয়ারি রোববার দিনব্যাপী শহর ঘুরে বেশ কয়েকটি ভবনের কাজ চলমান দেখা যায়। তবে এগুলোর কাগজপত্র সঠিক নেই বলেই জানিয়েছে স্থানীয়রা।
চাঁদপুর পৌরসভার এক তথ্যে দেখা যায়, গেলো ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫০ এর অধিক ভবনের প্লান অনুমোদনের আবেদন ঝুলে আছে। যেগুলোর ফাইল যাচাই বাছাই শেষে বিধি মোতাবেক ভবন অনুমতি পাবে। কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ প্লান পাশ হবে তা আদৌ অজানা। আর এই সময় কাল ক্ষেপন দেখে অনেকেই প্রভাব বিস্তারকে কাজে লাগিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে চাঁদপুর পৌরসভার শহর পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাত ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক জটিলতায় দেড় শতাধিক ভবনের ফাইলগুলো অনুমোদনের আবেদন রয়েছে। আমাদের ১১ সদস্যের বিসি (বিল্ডিং কন্সট্রাকশন) কমিটি নিয়ম অনুসারে যোগ্যতা থাকলে ভবনগুলো অনুমোদন দিবে। আগামী মিটিংয়ে উত্থাপন করার জন্য ৪২টা ভবনের লিস্ট যাচাই বাছাই করেছি।
তিনি আরও বলেন, প্লান পাস না করে অনুমোদনহীনভাবে নিজ দায়িত্বে ছোট বড় ২২টি ভবনের কাজ চলমান থাকার খবর পেয়েছি। তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা কাজ শুরু করেছি। এর আগেও এ কে মাসুদ টাওয়ার, এসএম ডেভলোপারের আলিম পাড়াস্থ ভবনের কাজ, ছোট বড় ব্যাক্তি পর্যায়ের ভবন নির্মাণ কাজ আমরা কাগজপত্র জটিলতার কারনে বন্ধ করেছি। আমাদের সাফ কথা- পৌরসভার প্লান পাস ছাড়া ভবন বাস্তবায়ন কাজ করা যাবেনা। কেউ বিধি মোতাবেক ভবন নির্মাণ করতে চাইলে আমরা সহায়তা করবো এবং এর ব্যাত্যয় ঘটালে আমরা নগরবাসীর স্বার্থে কঠোর ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখ্য, আওয়ীমীলীগের ১৭ বছরে প্রতিবছর গড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ ভবনের প্লান পৌরসভা থেকে পাশ করিয়ে নেয়া হয়েছে।