সম্পাদকীয়ঃ চাঁদপুর শহর রক্ষায় সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করলেও শহর রক্ষায় মেঘনার নদীর বালি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। অদৃশ্য কারনে বালি উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
গত ২ জানুয়ারি হঠাৎ করে চাঁদপুর লন্ঞ্চঘাট এলাকায় ঢেবে গেলে তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশ সহ উর্ধ্বতন কর্মকতারা পরিদর্শন করতে যান। চাঁদপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন বন্ধ করার। অথচ অদৃশ্য কারনে তা বন্ধ হচ্ছে না। কবে নাগাদ বন্ধ হবে তাও কেউ জানে না।
গতকাল বুধবার দুপুরে চাঁদপুর শহর রক্ষায় পৌর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি দেলু দর্জিসহ এলাকার লোকজন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে ও অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন বন্ধে অবিলম্বে প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সকলে দাবী জানিয়েছেন। মানববন্ধন কর্মসূচি তে অংশ গ্রহণ করা সবার দাবী মেঘনা নদীর বালি উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
তারা বলেন, চাঁদপুর আমাদের প্রাণের শহর। আমাদের শেকড় চাঁদপুরে। সেই শহরের অব্যাহত নদী ভাঙনে আজ বিলীনের পথে। এসব আমাদের পীড়িত করে। তাই নৈতিক দায় থেকে আমরা এই দাবিতে নেমেছি। আশাকরি সরকার অতিদ্রুত চাঁদপুরকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।
২০১৯ সালে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে কেন তা অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এ অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না- সেই মর্মে রুল জারি করেছিলো আদালত।
২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি এলাকাবাসীর পক্ষে জেলার খালিশপুর গ্রামের মাহমুদুল হাসানের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ১২ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতের এ আদেশের কপি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।