রিয়ন দেঃ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় দীর্ঘ এক যুগ পর চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে প্রেম ও দ্রোহের কবি নজরুল ইসলামের ৪৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
২৭ আগস্ট শনিবার বিকালে কবি নজরুল এই মৃত্যুবার্ষিকী পালনে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং কবিকে নিবেদন করে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশিত হয়।
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বশির আহমেদ বলেন, বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে নজরুলের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। তিনি সাহিত্য বিকাশে সমগ্র বিষয়ের উপর জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ছেলে মেয়েরা যদি সাহিত্য চর্চা না করে তাহলে বিপদগামী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই কবি নজরুলকে মনে প্রাণে ধারন করে সাহিত্য চর্চায় মনযোগী হতে হবে। এজন্য জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অমর চন্দ্র দাস বলেন, নজরুল তার লেখনীতে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার উর্দ্ধে অসাম্প্রদায়িকতাকে স্থান দিতেন। তিনি মানুষকে ধর্মের পরিচয়ের উর্দ্ধে মানুষ হিসেবেই পরিচিত করতে কলম ধরতেন। এমন গুণিজনের জন্য সব সময় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর এডহক কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, সাহিত্য বিকাশে নজরুল যা লিখে গেছেন। তা বিশ্লেষণ করতে গেলেই বুজা যায় তিনি কতটা বিচক্ষণ। এমন কবি এই দেশকে অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনায় দেখতে চেয়েছেন।তাই আমরা কবির আদর্শ ও চিন্তা লালন ও ধারণ করে কাজ করে যাবো।
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর এডহক কমিটির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন শান্তের সভাপতিত্বে এবং সদস্য আশিক বিন রহিমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর এডহক কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সেলিম, জালাল চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল্লাহি কাফি, গায়ক ইতু চক্রবর্তী, সুদীপ কর, সাহিত্যপ্রেমী অধ্যাপক মোশারফ হোসেন,পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র দাস, স্বপন ভঞ্জ, ফয়সাল মৃধা, মোঃ হানিফ, তাফাজল হোসেনসহ সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক প্রেমীগণ।