স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর সদরের ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হরিপুর মদনা গ্রামের মাঝী বাড়ী এলাকায় একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে নারীসহ আরো অন্তত ৩ জনকে আহত করার ঘটনা ঘটিয়েছে। আহতরা বর্তমানে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৯ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে আহতদের উদ্ধারে সহযোগিতা করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই রুহুল আমিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স ও স্থানীয়রা।
আহতরা হলেন, তাজ মাঝীর ছেলে বাবুল মাঝী(৬৩), মোশারফ সিকদারের স্ত্রী লাকি বেগম(৩৫), তাজ মাঝীর ছেলে কালাম মাঝী(২৮), সালাম মাঝী(৩০), দিলদার মাঝী(৪০)।
ঘটনা প্রসঙ্গে সদর হাসপাতালে ভর্তি লাকি, বাবুল ও কালাম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান পেতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের ডাকে সাড়া দিয়ে এলাকার সালিশি বৈঠকে অংশ নিতে আমরা যাই। পরে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুলাল মাঝী, মৈন্না মাঝী, ইউসুফ মাঝী, মাইনুদ্দিন বিশ্বাস, শাহিনুর রহমান, সুমন, শাহাদাৎসহ মোট ১৫/২০ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা আমাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আমরা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি হই। আমরা এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশের দারস্থ হচ্ছি।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ দুলাল মাঝী গংদের বক্তব্য তাৎক্ষনিক নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মুঠোফোনে চাঁদপুর সদরের ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোকন বলেন, আমি ভালোর জন্য দু’পক্ষকে ডেকে সমাধানের পথ খুঁজতে বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যে ঘটনা ঘটে গেছে তা নিন্দনীয়। বিষয়টি কঠোরভাবে সমাধান দিতে আমি পুলিশকে সহযোগিতা করবো।
এদিকে আহতদের শারিরীক অবস্থা প্রসঙ্গে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে চান্দ্রায় বেধড়ক পিটানো আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। আর বাকি কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ী পাঠানো হয়েছে।