আবদুল কাদিরঃ ডাকাতি মামলায় অভিযুক্ত আসামীর মালামাল জব্দের সময় একই বাড়ির লোক হিসেবে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে স্বাক্ষী হিসেবে পুলিশ নাম লিপিবদ্ধ করে। প্রায় সাড়ে তিন বছর পূর্বের ওই ঘটনার ওই ডাকাতির মামলার আসামী হিসেবে ওয়ারেন্ট আসে স্বাক্ষী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনদিন পূর্বে থানা পুলিশ ওই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হিসেবে তাকে আটক করে। একই নামে ওই মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী থাকায় দ্বিধায় পরে যায় থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে মামলার নথি পর্যলোচনা করেও ওয়ারেন্ট অনুযায়ী তাকে আদালতে প্রেরণ করে। পরে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি দ্রæত যাচাই বাছাই করে আটককৃত ব্যক্তি আসামী নন বলে নিশ্চিত হয়ে তাকে স্বসম্মানে মুক্তি দেন। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালি গ্রামের।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই মামলার চার্জশীট ভুক্ত ৩নং আসামী আব্দুর রহমান বেপারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান আসামী সামছুল হকের ছেলে আ: কাদির বাড়ি পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালি গ্রামে। অন্যদিকে ওয়ারেন্ট আসা আনোয়ার হোসেন পিতা: ফজল হক গ্রাম পূর্ব বড়ালি। শুধুমাত্র নামের মিলের কারণে ডাকাতির মামলার পলাতক আনোয়ার হোসেন পরিবর্তে ওয়ারেন্ট আসে অন্য আনোয়ারের নামে।
আদালত থেকে আসা ওয়ারেন্ট অনুসারে আনেয়ার হোসেন পিতা: ফজল হক। একই গ্রামের
বুধবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পৌর এলাকার পূর্ববড়ালি গ্রামের তার বাড়ির জনৈক ডাকাতি মামলার অভিযুক্ত কাদিরের বসত ঘর থেকে ডাকাতির মামলার মালামাল জব্ধ করার সময় তাকে একই বাড়ির লোক স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর নেয়।
কিন্তু গত ৩ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে কৌশলে ফরিদগঞ্জ বাজারে ডেকে এনে ওয়ারেন্ট দেখিয়ে আটক করে।
আনোয়ার হোসেন এসময় পুলিশকে জানান, তিনি ওই ডাকাতির মামলার মালামাল জব্ধের সময়কার স্বাক্ষী। তারই নামে আরেক আনোয়ার হোসেন ওই মামলার অন্যতম আসামী। বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ মামলার কাগজপত্র যাচাই করে নিশ্চিত হন এই আনোয়ার সেই মূল অভিযুক্ত আনোয়ার নন।
পরদিন মঙ্গলবার ওয়ারেন্ট ভুক্ত হিসেবে আনোয়ার হোসেনকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরবর্তীতে চাঁদপুর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো: মহসিনুল হক বিষয়টি যাচাই বাছাই করে স্বসম্মানে মুক্তি দেন।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আ: মান্নান জানান, আদালত থেকে আসা ওয়ারেন্ট তামিল করতে যেয়ে আমরা আনোয়ার হোসেনকে আটক করি।
পরবর্তীতে আমরা প্রকৃত ঘটনাটি জানতে পারি। তারপরও তিনি যেন ভবিষ্যতে হয়রানি না হন, সেই জন্য তাকে আদালতে প্রেরণ করি। তদন্তপূর্বক আমরা ওই আনোয়ার হোসেন ডাকাতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আনোয়ার নন বলে প্রতিবেদন দেই। পরে আদালত নথি যাচাই পূর্বক তাকে স্ব-সম্মানে মুক্তি দেন।